পূজোজুড়ে মেঘ জমেছে টাপুরটুপুর ঝুম,
শহরজুড়ে কাঁদা মাখা সেলফি সেলফি ধুম।
প্ল্যান গুলো সব গুলিয়ে গেছে, বাড়ি ফিরতে লেট,
অষ্টমীতে শাড়ি পড়ার বায়না ধরেছে ' সুজেট '।
দামিনীর আবার চুল স্ট্রেট with jeans সালোয়ার,
প্যান্ডেল হপিং এর সঙ্গে চলছে পানিপুরীর আবদার।
ওদিকে নির্ভয়া ওর বন্ধু সায়না- অঞ্জু দের সাথে লংড্রাইভে গ্রুপ সেলফি তুলবে,
বলে রেখেছে, লেটনাইট ডিনার করে তবেই ফ্ল্যাটে ফিরবে।
তবে ফেরা হবে কীনা জানা নেই.....
ওর নাকি আবার " রাত " শব্দে খুব ভয়।
রাতে মনে হয় অ্যালার্জি। কবে কার কোন স্বপ্নে ভেঙেছে ঘুম ----
অষ্টমীর রাতভাঙা চিৎকার....।
শেষ বাসে ফেরা
সিটের ওপর নগ্নশরীর নিঝুম...।।
থাক্ চুপ চুপ। স্বপ্ন ভেঙে যাবে অকালে। এখন ওসব থাক।
এখন ওদের একটু ঘুরতে দাও, আরো একটু বাঁচতে দাও।
শুনেছি কামদুনীতেও নাকি পূজো এসেছে --- মায়ের বোধন সুর।
পার্কস্ট্রীটের জ্বলন্ত ছায়ায় ঢ্যাম কুড়াকুড় কুড়...।
তবুও দেখছি অকাল বোধন , বিসর্জনেই শেষ,
একলা বসে লিখছি এসব, আধো ঘুমের রেশ।
হঠাৎ বিকট প্রবল শব্দ। নৃত্যে নেমেছে কারা??
পুড়িয়ে দিচ্ছে সকল পাপ, অসুরেরা দিশেহারা....
জ্বলন্ত ছাইয়ে জন্ম নিচ্ছে নতুন মাতৃকা,
দেহ যার মানব মোহিনী, চক্ষু অগ্নিশিখা।
ছাইয়ের ওপর ছাই ঢেলেছে পিনাক ডমরু সাজ,
ফতোয়া-নিয়ম- মৌলবাদের শবদেহ ঢাকা আজ।।
পুড়ছে পাপ ;পুড়ছে হিংসা ; পুড়ছে সকল ধর্ষকেরা।
একে একে লুটিয়ে পড়ছে এই সমাজের অসুরেরা।
পাপীতাপী পালাচ্ছে যত যেদিকে আছে যারা..
ভীষণ রণে নেমেছেন দেবী
; বামহস্তে খাঁড়া।
এই সমাজের ভেকধারীরা দিকেদিকে নিঃশেষ....
দূর্গা নেমেছে ত্রিশূল হাতে অসুরদলনী বেশ।
দূর্গা নেমেছে ত্রিশূল হাতে অসুরদলনী বেশ।।