রোদ চশমা খুলে ফেললেই মন কি বদলে যায়?
মনের ভেতর ভেদের দেয়াল আলোর নাগাল নাই?
মগজ যখন পোকার মতন কিলবিল করে চলে
লাভ কি হবে তাদের কাছে প্রেমের কাব্য বলে?
মাঠ পেরোলে ঘাট পেরোলেই সোনালী বন্দর
দুষ্ট ছেলে তবু খুঁজে ফেরে ধোঁয়াটে অন্দর
দুষ্ট বুদ্ধি কোত্থেকে হয় কে বা লালন করে
কোন কারিগর কোন জহরত দিয়ে তৈরি করে
মশা না মেরে উৎস মারো, বন্ধ করো সৃজন
তাহলেই মশা নির্মূল হবে, কয়েলের বিপনন।
ঘরের ভেতর নষ্ট বিদ্যা থরে থরে রাখি সেজে
ঘর পরিস্কার না হলে কি হবে সমাজকে ঘষে মেজে?
শিকড়ের দিকে চোখ দিতে হবে, রসের উৎস মূলে
শিকড় থেকেই প্রাণ প্রবাহ তাকেই গিয়েছি ভুলে
অাজকে যেটাকে সত্য ভাবছি হয়তো সেটা তা নয়
ভালো করে অনুসন্ধান হলে হয়তো হবে প্রলয়
কে আমি কোথা থেকে আসি বিশ্বাস সরিয়ে রেখে
যদি খুঁজে ফিরি উত্তরমালা মুক্তো সাগর সেঁচে
প্রশ্ন তৈরি জবাব খোঁজা, সভ্যতার এক গতি
সেখান থেকে প্রস্থান করে কাদের করছি ক্ষতি?
অন্যের নাকি নিজের নাকি সমগ্র মানব জাতির
এই দাবানল, তুষার প্রবাহ, ভূমিকম্প, সুনামীর
সব দেখে শুনে আস্তিন টেনে হাত-পা গুটাবে সবে
তা না হলে গিয়ে প্রার্থনা ঘরে অশ্রু ঝরাতে হবে
আর যদি দেখি এক দঙ্গল ছেলে পুলে নেমে পথে
টেনে টুনে তুলে ফের ঠেলে দিচ্ছে জীবন যুদ্ধ রথে
নতুন করে আশা জাগাচ্ছে শোনাচ্ছে বাঁচার গান
ভাবছে কী ভাবে বশে আনা যায়, কম হলে পরিত্রাণ
কেন হচ্ছে এতসব কিছু, আগামীতে আর কি আছে
কমাবার কোন উপায় কি আছে, এই মানুষের কাছে
যদি না থাকে সেটাও তো জানা সমাজের প্রয়োজনে
তা না করে যদি ছেড়ে দিই সব হয়ে যাই আনমনে
রক্ষা পাবেননা মানব জাতি রক্ষা পাবে না কেউ
পৃথিবী চলবে আপন নিয়মে সাগরে আসবে ঢেউ
সময়ে সময়ে সেই ঢেউই এসে মারবে সভ্যতাকে
আমি ও তুমি, আমরা তোমরা, কাইকে নেব না ডেকে
পায়ের নীচে হারকউলিস, পম্পেই চলাচল
টের পাও নাকি পাওনা মোটেও অতলান্তিক জল
ডুবে মরেছে আটলান্টিস, এক নিমেষের জলে
সে সব প্রশ্ন, ঘটনাপঞ্জী মনে কোন দাগ ফেলে
আমরা এসেছি চলেও যাব রেখে যাব কিছু স্মৃতি
চাই সময়ের সদ্ব্যবহার জীবনটা ক্ষুদ্র অতি
এই জীবনে পথ ফেরি করে সহজ কাটিয়ে দেয়া
কঠিন কিন্তু মানুষের জন্য মঙ্গলময় কিছু করা
আপাত শান্তি বা সান্ত্বনা অথবা মৌনব্রত
সমস্যাগুলোর সমাধান নয় বরং বাড়াবে ক্ষত
মানুষ বাঁচে তার সময়ে স্বল্প স্বপ্ন নিয়ে
তার হতে কেন মারণাস্ত্র তত্ত্ব তর্ক নিয়েে
এসো তাকে দিই বাঁচার অস্ত্র, বিদ্যা বুদ্ধি বড়ি
রোগ জরা ব্যাধি দুর্বিপাকে হাতটা বাড়িয়ে ধরি
নিজেরা যেন নিজ ধ্যান দিয়ে না করি ঘাড়টা ভারী
নিজ চিন্তা না মানলে যেন না প্রাণ সংহার করি
জীবন হলো একমুখী পথ দু’ভাবে যায় না চলা
সেই পথকেই মতের বিরুদ্ধ বলে অবরুদ্ধ করা
জীবন দিলেন যে তিনি মহান তার নাম করে আমি
কোন অধিকারে তোমার গলায় তলোয়ার ছুঁয়ে আনি
কে আমাকে এ বর এনে দিল জীবন নেয়ার দায়
মানুষ বাঁচানো হোক মহাব্রত প্রাণ সংহার নয়।
অপরাধী যে অপরাধ তার পাওনা শাস্তি পাবে
চিন্তা-ভাবনা মুখের কথায় কেন কারো প্রাণ নেবে?
শেখাতে হবে মানুষকে আজ জীবনের জয় গান
এসো সবে মিলে বাঁচি হেসে খেলে করি প্রাণ অফুরান।
ভরে তুলি এই সবুজ পৃথিবী ফুল ও ফসল ঘ্রাণে
দল-দলাদলি, ধর্ম বিভেদ, পাঠাই গোরস্তানে
নতুন পৃথিবী নতুন করে আবার সাজাতে হবে
চিন্তা চেতনা ভাবনা গুলো মানব কল্যাণে যাবে
ঘরে বসে বসে আকাশ কুসুম কল্পনা গুলো ছেনে
হাতিয়ার করে তুলি তুমি আমি নতুন স্বপ্ন গুনে
নতুন পৃথিবী নতুন আবাস জ্ঞান-বিজ্ঞান দিয়ে
বিশ শতকের বাসি পচা জ্ঞান পাঠিয়ে নির্বাসনে
নতুন জ্ঞানের অন্বেষণে যদি করো আহ্বান
খুলে যাবে সব রোদ চশমা, অপাপবিদ্ধ প্রাণ
নতুন করে স্বপ্নোত্থিত মানুষেরা হয়ে যাবে
বাসযোগ্য হবে সবুজ পৃথিবী ভালাবাসা অনুরাগে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//ঢাকার জীবন।