এ গৃহ আমার নয়, পর গৃহে বাস,
গড়ছি আপন গৃহ চির পরবাস।


হাওয়া নেই, আলো নেই,
নেই কোন রং,
নৈঃশব্দ নীরবে ঝুলে
থাকে সারাক্ষণ।


সময় স্থির হয় ধ্যান মগ্ন থাকে,
অলোক আলোক রাশি চক্রব্যুহ আঁকে।


বৃক্ষ নেই লতা নেই,
পাতা নেই কোন,
মেঘ এসে ঢাকে চোখ
মাতৃছায়া যেন।


এ গৃহে পাখালী এসে গাঢ় ঘুম ভাঙে,
সুর ছন্দে মন বিহঙ্গ রাঙে তার রঙে।


বিভাজন অভাজন,
নীরাজন ব্রত,
আমার সে গৃহ হবে
তোমার অশ্রুত।


রয়েছি এসব নিয়ে, দিব্য মন জ্ঞানে।
তোমাদের ইহ গৃহ আমাকে না টানে।


দিন রাত একাকার,
স্বপ্নময় নিরাকার,
ভেজা চোখ ভেজা মন
যতিহীন অহঙ্কার।


অতিথি হবে না কেউ,
নিমন্ত্রণ দূরের ঢেউ,
সহস্র ঝিনুক এসে
নীড় বাঁধে চার পাশে।


মাটির বিছানা পাতা,
সিথানেতে খেরোখাতা,
মনে হবে ঝরাপাতা,
সিলিং এ গালিচা পাতা


সব কাজ থেমে গেছে,
ক্ষুধা ও পিপাসা মিছে,
অখন্ড অবসরে
কত কথা মনে পড়ে।


নেই কোন দাবী দাওয়া নেই সংলাপ,
মুছে গেছে লোভ, চাওয়া, সব সন্তাপ।


সুতীব্র অপেক্ষা এসে
পরশ বুলাবে,
গৃহকাজ পরিকর্ম
প্রয়োজন হারাবে।


কত পথ এসে মেশে এই এক গৃহে,
চাই বা না চাই প্রিয় পরিজন দোঁহে।


ভীতি নয়, স্বস্তি নয়
সুখ শান্তি নয়,
শাসন ত্রাসন নয়,
নয় বরাভয়।


জানি না এ বিশ্রাম কবে শেষ হবে,
যদিও তোমার গৃহ ভরা বৈভবে।


আমার এ গৃহে আমি
রাজন্য রাজ,
না হোক বর্ণিল ক্ষেত্র
না থাক সুখ সাজ।


গড়ছি যখন গৃহ ভালো করে গড়ি,
আমাকে নিভৃতে রাখো অনঙ্গ ঘড়ি।


আরশাদ ইমাম//ঢাকার জীবন।