শৈশব আর কৈশোর। সময় শ্রেষ্ঠ। স্বর্গতুল্য।
বাবা-মা রা লেখা-পড়া দিয়ে এটাকে তোলে বিষিয়ে!
মানুষ করে তোলে নরক।
এসো আমরা আবার আমাদের শৈশবে ফিরি,
পুরনো সড়ক ছেড়ে অপ্রচলিত পথে,
আবার আমরা স্বর্গযাত্রা করি
অন্য কোন উপায়ে, অলৌকিক রথে- পারবে?
তবে হাত ধরো, চলো ছুটে চলি অদেখার দিকে
মনের সবগুলো দরজা-জানালা খুলে দাও,
আসুক হাওয়া, উঠুক ঝড়, ভাসাক বন্যা,
এসো আবার ভিজি বেনো জলে,
আবার সাঁতার কাটি অবলোর বানে,
এসো আবার ভাসাই ভেলা অসম্ভব সাগর পাড়ি দেবো বলে,
ডুবি অন্তহীন অবগাহনে।
যাবে? যদি যাও-আঙুল চালিয়ো প্রাণের তন্ত্রীতে
আমি এসে হাজির হবো-
যদি তুমি হও সমুদ্র-উপকণ্ঠে,
তুমি যদি হও প্রবাহিত নদী- তার তীরে,
তুমি যদি হও বানভাসি জল- স্রোত হয়ে,
তুমি যদি হও কালবোশেখী-মাতাল হাওয়া হবো,
যদি হও ভালবাসার প্রতিভূ-নতজানু হবো,
যদি হও দেবী- আসব পূজারী হয়ে,
যদি হও তুমি শুধুই শরীর, পলাতক অথবা অর্থ, -
আমি আসবো ছুরির ফলা, লুটেরা,
না হয় শতছিন্ন জটাজাল হয়ে।
আসবে? ভেবে দ্যাখো।
ডাক দিও মেঘের সুরে, টের পাবো আমি,
যদি চলেও যাই অন্তহীন গহীন;
যদি চলেও যাই না ফেরার দেশে, আবার প্রাণ পাবো, যে প্রাণ অন্তহীন;
ঈশ্বরকে বলবো আরেকবার পুনর্জন্ম দিতে
যে জন্ম শুধুই তোমাকে পাবে, অার কাউকে নয়।
সে হবে আমার শেষ পুনর্জন্ম।
এস, এম, আরশাদ ইমাম//২০।০৫।২০১৫, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২২//ঢাকার জীবন
[কোন এক নীলা অথবা সুমি-কে, যে আমাকে দিয়েছিল নীল পৃথিবী,
আর পেরিয়ে যাচ্ছে আহ্বানের সময়, দূরিয়ে যাচ্ছে কাঙ্খিত পুনর্জন্ম]