তুমি ইতিহাস হয়ে গেলে সেই দিন থেকে
বলতো কোন সে দিন?


যেদিন একমুঠো আগুন হাতে দিয়ে বললে, ‘চললাম।
এক পিতার সন্তান হলে আর পিছু ডাকবে না।’


তুমিই ফের একদিন ইতিহাস গড়লে-একা
এমন একভাবে
বলতো কিভাবে, কি রকম?


যেদিন দাউ দাউ আগুন ঢাললে
আইস কিউবের মতো অবাক শীতলতা,
ঢাকা-চট্টগ্রামের উড়োজাহাজে
পিছন থেকে এসে পিঠে হাত রেখে বললে,‘কেমন আছো?’
বললে প্রত্যাখানের একশত বছর পর।


তুমিই ফের ইতিহাসের চাকা
ঘুরিয়ে দিলে ইতিহাসপূর্ব দিনের দিকে, একভাবে একদিন
বলতো, জেনে নাকি না জেনে? কিভাবে?


যেদিন আমার শয্যা ছেড়ে উঠেই
এক গেলাশ সোনালী শিশির
বুকে ঢেলে বললে,‘নিভিয়ে দিলাম সব আগুন, শোধ হলো সব দেনা,
শোধ করলাম আমার দুর্বহ ঋণ যতো,
ভালবাসার পরিণতিতে এই একটি পাওয়াই থাকে অবশিষ্ট;
তোমাকে দিয়ে আজ ভারমুক্ত হলাম’।
আমি অবাক নির্বাক চেয়ে দেখি, তুমি
তারপরই রিসিভার তুলে নিয়েছ হাতে,
বলছ, ‘হ্যাঁ, আসছি আর আধঘন্টার মধ্যে, ওভার।’
আঙুলের ফাঁকে তখনো এলামেলো চুলরাশি খেলা করছে, তোমার
পরিপাটি হয়ে ওঠেনি তখনো।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//৭ এপ্রিল, ১৯৯৬; রাত ০২.৩৩; সূর্যসেন হল, ঢা.বি.//প্রথম পাঠ