রাশ রাশ কলি ঝরে সকালে ও রাত্রে
ফুল হয়ে ফুটে ওঠা রুখছে কে আজ রে
আজ তারা পূণ্যের ফেরী করে রোজ রোজ
নব তরু কিশলয় কোথা যায় নেই খোঁজ
দেখি দূর মরু পথে কার কাঁধে রাইফেল
ডেকেছে কে এ স্বপ্নেঃ এসো গড়ি আইফেল
ইসলাম ফিরে আসে যুগে যুগে মর্ত্যে
কারবালা শেষে খিলাফত এই শর্তে  
তার আগে বিশ্রামে ইহুদী ও নাসারা
কবজায় নিয়ে নেবে বোঝ না কি বাছারা
ডাকে মরু প্রান্তরে ইসলামী বালিঝড়
জিহাদের ডাক শুনে ছোটে প্রাণ তৃণ খড়
ফিরে না সে কোনদিন ঘরে বসে কাঁদে মা
বাবা মা-র চেয়ে বড়ো, আল্লাহ্‌-র খিদমাহ্‌
ঘরে ঘরে চলছেরে সংগ্রহ সোলজার
আজকে কে বুঝাবে রে এর মাঝে লাভ কার
মারছে যে মরছে যে দু’জনেই মুসলিম
তার মাঝে নেই কোন ইহুদীর মুজরিম
নিজেদের খুন করে নিজেরাই নিঃশেষ
যার কথা ভেবে লড়ো সে-ই দেখে বলে বেশ
লড়ে যাও যত পারো সঙ্গীন লাগে নাও
অবারিত খোলা দোর এনে দেব যত চাও
ধ্বসে যাও শার্দুল মূর্তি বা জনপদ
তোমাদের দ্বারা হোক যত দুশমন বধ
একদিন জারি হবে পৃথিবীতে ইসলাম
থাকবোনা আমি তুমি, থাকবেনা কারো নাম
খাঁ-খাঁ মরু পথে পড়ে থাকা হাড় কঙ্কাল
নয় সমরাস্ত্র, না, জিহাদীর শেষ হাল
সেই পথে ছুটে যাবে নাসারার ক্যরাভান
রুখবার নেই লোক, ইসলামী আহ্বান
মুসলিম ছাড়া কে-হে তুলবে সে ঝান্ডা,
সব মরে ভূত, পাবে মহাকায় আন্ডা।
হবে জয় ইহুদীর, জয় হবে নাসারার
হাতে গোনা মুসলিম, শেষ হবে ম্যাসাকার।
দুনিয়ায় খেরোখাতা কিয়ামতে কী হবে!
অাল্লাহ্‌র বিচারেতে খুনী সব পালাবে
কিভাবে পালাবি তুই, কোথা যাবি পলাতক?
এইবার ধুয়ে-মুছে তৈরি হ মরু বক।
পালিয়েও লাভ নেই, কোথা যাবে এ প্রাচীন?
নিজ হাতে ইসলামকে করেছো দীন হীন।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//২৫.০৫.২০১৫; সোমবার//ঢাকার জীবন


[নিজস্ব ব্যাখ্যাঃ আমাদের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘‘খেয়া পারের তরণী’’র বর্তমান সংস্করণ হিসেবে এটা লিখলাম। আশা ও আহ্বানের চেয়ে হতাশা ও পরিণামই এখানে উপজীব্য।]