১. আরবী ক্লাশ ছেড়ে

দুপুর দুপুর তপ্ত দুপুর
হওয়ায় এত তাপ!
ছোট্ট শিশুর মুখের উপর
ছড়িয়ে যায় ভাপ।
ধবল শরীর, গোলাপী ঠোঁট
কাচা কৃষ্ণ দাড়ি,
কোনদিন সে ছোঁয়নি সিগার
দেখতে বলিহারী।
পড়ার ক্লাশে মন বসেনা
উড়ু উড়ু মন
বাথরূমে তাই শিশুর উপর
মনের স্খলন।

২. মুসলিম না গারো

ভিতরে দহন বাড়ে, পোড়ে জিভ, পোড়ে চোখ
সময় গড়িয়ে চলে, মরা মন, চাপে রোখ
গলিত শরীর নিয়ে ছুটে চলে পথে পথে
বাইরে মানুষ রূপ পোষাকের প্রতি ভাঁজে
তবুও মানে না বাঁধ, মুসলিম কিবা গারো
খামচে খুবলে খাও, যত খুশি যত পারো
নেই তার ধর্ম বা অাত্মীয় সংসার
সমাজ পচেছে কবে আমি তার ঠিকাদার
আমাকে পুড়ছ তুমি, প্রতিদিন প্রতিক্ষণ
আজকে পুড়বে তুমি নিভে দেব সম্মান।
সড়কে ঘুরছি দ্যাখ, আমি চিল আমি বাজ
আমাকে দিয়েছে লোভ ব্যাভিচারী এ সমাজ।

৩. সারমেয় সমাচার

দেশ বুঝিনা বয়সও নয়, মাতা কন্যা ভগ্নী জায়া,
আমার ভিতর ঘেয়ো কুকুর, আকাশ জুড়ে নোংরা ছায়া।
বাংলাদেশ কি ভারত- বিদেশ, ঢাকা না হয় কলকাতাতে,
ট্রেনে, বাসে না হয় ট্রামে, একা কিংবা জনস্রোতে।
দিনে না হয় রাতের আঁধার, যখন এসে শয্যা পাতে,
বেরিয়ে পড়ে কুকুরের দল, শহর জুড়ে মল ছড়াতে।
আজকে সময় নগর পিতা, কিংবা ধরেন স্বদেশ মন্ত্রী,
অস্ত্র গোলাবারুদ রেখে, তুলবে হাতে কোদাল খুন্তি।
নগর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ময়লা সাফে হুকুম দেবে,
সমাজ থেকে ঘেয়ো কুকুর, গুলি করে মেরে ফেলবে।
আমরা বলি স্বাগতম, আজই শুরু করতে হবে
সমাজ শহর স্বদেশ বিদেশ কুকুর মুক্ত গড়তে হবে।

৪. সাগরে শয়ান

মানুষের রক্ত মানুষেরা করে পান
শুনব না, বুঝব না, গাইব না, জয় গান।
থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া দেশ
বাঙালীর লাশে ভরে গেছে কত ভিনদেশ
রোহিঙ্গা আছে যারা নেই নাম ঠিকানা
তার সাথে বাঙালীরা ভাসে কেন বুঝিনা।
দিন দিন হ্রাস পায় ছিল যত বোধ জ্ঞান
আমি আজ নির্বাক, শেষ সব লেন দেন।