বিস্তীর্ণ পাথারের ওপারে হিম হয়ে আসা সন্ধ্যার কোলে
কে যেন তরীর দরজা খোলে,
অস্তায়মান সূর্য থেকে আসছে
ফিকে হয়ে  আলোর প্রবাহ,  হাওরের জলে
পিছলে পিছলে এসে ঘাই দেয় নায়ে;
বাতাসে বেহাগ শুনি, সুর এসে বিঁধে তার গায়ে, রায় নন্দিনী।


মধুমতির জল এখনো হয়নি লোনা, সুমিষ্ট অতি
ঘণসবুজ শৈবাল এসে গান গায়, পানির তলে
কোথাও ডেকে ওঠে জলডুবি পাখি, জলদ গম্ভীর স্বরে
কেঁপে ওঠে প্রাণ, কাঁটা দেয় গায়ে, রাজন্য বন্দিনী।


এখানে সন্ধ্যা নামে, এই হাওর অথবা বিলের জলে,
মাছরাঙ্গা পাখির মতো, হঠাৎ ঝুপ
নিভে যায় আকাশ প্রদীপ, একটানা ঝিঁঝিঁ ডাকে,
জলের স্খলিত হাসি কানাকানি করে,
জলজ গন্ধ গায়ে মেখে ভিতরে আসে কেউ,
এখন এই সন্ধার আঁধারে বনবেড়ালের থাবার ভিতরে
বনহংসীর বুকের ভিতর জেগে ওঠে মহাকালের ঢেউ; পরিসমাপ্তিহীন।
রায় নন্দিনী-আজ তোমার ইতিহাস হবার দিন।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//৩০ মে, ২০১৫; শনিবার; ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২//ঢাকার জীবন