১. পিঁপড়ে


লাল পিঁপড়ে আর কালো পিঁপড়ে
নাম তো ছিল খুব,
তোমাদের ধরে খেলে নাকি শেখে
পানিতে সাঁতার ডুব।
আমগাছ বেয়ে সারি সারি হয়ে
উঠে যাও মগডালে,
আমরা যারা এ দুষ্ট ছেলেরা
ধরে ধরে পুরি গালে।


সাঁতার কি শিখেছি? হয়তো সত্যি
তোমাদের প্রাণ নিয়ে,
আমাকে না হয় ক্ষমা করে দিও
দোষ টুকু মুছে দিয়ে।
সেই শিশু নেই, সেই দীঘি নেই
সময় খেয়েছে সব,
সেই গাছও নেই, পিঁপড়েও নেই
দেখছি দীঘির শব।


২. বয়েসী বৃক্ষ


সেই গাছ সে কি অশ্বত্থ বট,
অর্জুন নাকি বেল
থেমে গেছে বক বাদুরের ঝোলা
থেমে গেছে সব খেল।
খুব ভোর হতে কলকাকলি
পাখিদের কলরব,
আজকাল সব নিঝঝুম দেখি
শুনিনা তাদের রব।


এখন আমার শৈশব সে গ্রাম
জনমনুষ্যে ঠাসা,
মানুষই পায় না থাকতে জায়গা
কে দেবে পাখিকে বাসা!
গাছ নেই, সেই গাছের তলায়
বাঁশের মাচানও নেই,
নেই সেই মুখ, যারা সাঁঝাসরে
ফুটাতো কথার খই।


একে একে তারা ছেড়ে চলে গেছে
শ্মশান বিরাণ ভূমি,
প্রিয় মুখ গুলো হারিয়ে গেলেও
আছি আমি আর তুমি।
এখনো মাথার কোটি নিউরণে
বসবাস চলাচল
এখনো একটু অবসর হলেই
আলাপন অবিরল।


৩. কাঠবেড়ালী


কাঠ বেড়ালী মন পোড়ালি
ছুট ছুট অবিরাম
আনন্দটুকু ঠোটে মেখে নিয়ে
গেয়ে যাও কত গান।
পুচ্ছের ‘নয়’ উর্ধ্বে নাচিয়ে
তরতরিয়ে চলো
পাতা আর শাখা কিংবা শালিক
পাখিদের সাথে খেলো।


জীবন তোমাকে চঞ্চল বেগে
দিয়েছে চলার গতি
ছোট ছোট চোখ যেন অপলক
তীক্ষ্ণ শ্রবণ-শ্রুতি।
আর কারো কাছে হার মেনো না
প্রাণ প্রাচুর্য ফেলে,
কাঠবিড়ালী তোমার কাছেও
জীবন শিক্ষা মেলে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//০২.০৬.২০১৫; মঙ্গলবার; ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২//ঢাকার জীবন