কবি ওঠো, আবার বেরোতে হবে, আবার এসেছে ডাক।
উত্তরে গ্রীস থেকে দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড, যাবে-চেয়ে আছে
শতেক বিদেশী বা স্বদেশী ক্ষুধার্ত; প্রতিদিন।


এখনো পুড়ছে সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, লিবিয়া বা ইয়েমেন
এখনো জ্বলছে আগুন, ইরাক, লেবাবন বা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে।
সামান্য কয়েক লক্ষ ইসরাইলবাসী, পিষে ফেলছে পুরো
আরব ভুখন্ডের মাটি অথবা বালুকা বেলা-যেখানে এখনো
মাঝ রাত্তিরে জ্বলে ওঠে আলো, নৃত্যপটিয়সীদের প্রত্যঙ্গ দোলা।
এখনো ভাঙছে মূর্তি, স্থাপত্য শিল্প-কলা, আরব, মিসর অথবা
কোন দূর মরু বেলা।
কবি ফের নাও রাইফেল তোমার, শাণিত সঙ্গীন।
আবার বেরিয়ে পড়ো পথে, মুছে দাও, যত কালো পতাকা
গুঁড়িয়ে দাও সভ্যতার উপরে উদ্যত হাতুড়ী।


আরো একবার ফেরারী জীবনে সাঁতরাতে হবে, আরো আরো
ডুবতে হবে লোহিত জলে, আবার তুলতে হবে
বজ্রমুষ্ঠী-প্রতিবাদী কন্ঠস্বর জগত জোড়া।
আবার জ্বালাতে হবে বাতি- পৃথিবীর পথে পথে,
ভুলে যেতে হবে প্রেয়সীর সঙ্গীত-কান্না জড়ানো চোখ
আবার ভুলতে হবে নিজেকে, আগামীর জন্য।
যারা পৃথিবীকে চালিয়ে নেবে আরো সহস্র বছর
সেই মিছিলের অগ্রভাগে এখনো দেখি তোমার মুখ
অবিনাশী বাতিওয়ালা।


দ্যাখো আজ প্রথম ঝরছে কোন বিধবা মাতার চোখে
অশ্রুর বদলে কান্নার হাসি, আজই প্রথম দেখছি, তোমার মতো
যোদ্ধার মুখে বিজয়ীর হাসি, ঘাতকের চূড়ান্ত দন্ডাদেশে।
কবি, জেগে ওঠো আবার একবার, অস্ত্র ধরো আরো একবার।
তোমার দৃপ্ত পদক্ষেপে কেঁপে ওঠে ঘৃণিতদের পায়ের তলার মাটি,
কবি তোমার কলম আর লেখনীর সাথে সমান চালাও অস্ত্র-বাংলাদেশ থেকে
দূর মর্কিন মুল্লুক, আর কোরীয় উপদ্বীপ থেকে মাদাগাস্কারের
ক্রমশঃ বিনাশ হতে থাকা ক্ষয়িষ্নু ভূখন্ডে।


বাতিওয়ালা জ্বালাও আলো, অরক্ষিত জনপদে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//১৬-০৬-২০১৫; মঙ্গলবার; ২ আষাঢ়, ১৪২২//ঢাকার জীবন


[আজ একজন ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যদন্ডাদেশ সর্বোচ্চ আদলতে বহাল রয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেছে তাকে বাংলাদেশের মাটি হতে vanish করে দিলাম। আমরা এভাবেই অনেক কিছু নির্মাণ করি। সেইসব বাতিওয়ালাদের জন্য আমার এ পংক্তিমালা নিবেদন করলাম।]