কোন কোন নদী পাড় ভাঙে কোন দিকে, চর গড়ে কোথাও কোথাও
কোন কোন রঙধনু রঙ ছড়ায় কোন আকাশে আর
বৃষ্টি ঝরায় কোন গাঁয়, তার কাছে সেটাই মহৎ যে যা পায়।
আসলে রঙধনুর রং, বৃষ্টির মৌতাত-নিজ নিজ রূপেতে নিখাদ;
আমরা সাজাই তার রূপকাহিনী, ভরে তুলি ডালা
আশীর্বাদ বা অভিসম্পাত-সে ধন যে সাজায় তার।


কোন কোন মাটি কার হাতে যেন হয়ে ওঠে মূর্তি অথবা ভাস্কর্য্য
কার অনুপম আঙুলের ছোঁয়ায় কাদামাটি হয়ে ওঠে শিল্প,
এ কী মাটির মহত্ত্ব নাকি, শিল্পীর মনের কারুকার্য্য-শৈলী!
মাটিকে মহৎ করে যে কারিগর তার বুকের কথা কেউ জানে কী,
সে থাকে চোখের আড়ালে, নেপথ্যে বয়ে যায় তার দিন, হায় অর্বাচীন!


কোন কোন মেঘ ধীরে ধীরে ভেসে আসে, ছড়ায় স্নিগ্ধ ধারা, বৃষ্টি জল
তৃষিত পৃথিবী প্রাণ ফিরে পায়, অতল থেকে মাটি ঠেলে উঠে আসে
ভূমি-কীট, মৃত্তিকার শতদল, ঘাস, মাছ আরো কত কী!
মেঘ কী জানে, কী ছড়িয়েছে সে পৃথিবীর নাভীমূলে, জংঘায় অথবা
জানে কী কোথা থেকে প্রাণ প্রায় সবুজ ধরিত্রী, এত আগুন,
এত মরুময়তা, এত ভাঙ্গা-গড়া বা এতো এতো বিনাশ পীড়ন!
জানে না।এমনই হয়। না জেনেই গড়ে ওঠে, জন্ম হয়, তৈরি হয়
নতুন নতুন স্বপ্ন জেগে ওঠে, নিজ নিজ গর্ভে-কেউ জানে না।


তবুও গর্ব আমার গর্ব তোমার, আমরা যেন গড়ি আমাদের চেতনা।
আসলে সব কিছু হয়ে হয়ে যায়, আমরা করি অদৃশ্যের নির্দেশে,
মনের গহীনে বসে থাকে আমাদের অদৃশ্য সুন্দরের অজর স্রষ্টা।


এস, এম, আরশাদ ইমাম// ১৮ জুন, ২০১৫; বৃহস্পতিবার; ৪ আষাঢ় ১৪২২//ঢাকার জীবন