মন্ত্রী মশায় স্বপ্ন দ্যাখেন এবার হবে হরিণ চাষ,
কোটি কোটি হরিণ মাতা সমুদ্রে তাই করছে বাস।
কাদামাটি নরোম পলি, লোনা জলের জলোচ্ছ্বাস,
কচি সবুজ গাছের পাতাই বেঁচে থাকার কলম্বাস।


ঠান্ডা ঘরে নরোম চেয়ার, মুখের সামনে মাইক্রোফোন,
মন্ত্রী মশায় স্বপ্ন দ্যাখান, সভ্যগণের আস্ফালন;
কোটি কোটি হরিণ শাবক টেবিল জুড়ে নৃত্য করে,
নিঝুম দ্বীপের সবুজ বাথান স্বপ্ন পুষ্পে উঠছে ভ’রে।


সভাসদের মহান কথক সমর্থনে শব্দ ছোড়েন,
দুই কোটি পিস হরিণ ছানা রপ্তানীতে লক্ষ্য গাড়েন;
দুবলার চর উড়ির চরে নাচছে সাগর ঊর্মিমালা,
পাচ্ছেনা দুধ মা হরিণের বাঁটে বাঁটে ভীষণ জ্বালা।


চিকেন রান আর গ্রীল কাবাব, উঠছে ভরে পানের গ্লাস,
হরিণ যাবে ওয়াশিংটনে- ইউএনডিপিও দিচ্ছে আশ।
হঠাৎ করেই আসলো খবর- দুই লক্ষ গাছের চারা
দিন-দুপুরে পেটের ভিতর চালান দিল কে বা কারা!


মন্ত্রী মশায় লাল বাটনে আঙুলটাকে দিচ্ছে পিষে,
প্রশ্ন করেন- কেমন করে সাবাড় হলো এক নিমেষে?
প্রশ্ন আছে উত্তর হীন, সভাস্থলে শ্মশান নামে,
শীতলকরণ যন্ত্রটা ঘুমায়, সবাই নেয়ে উঠছে ঘামে।


বৃক্ষ নিধন বন্ধ করুন, বন বিভাগের কর্মী যারা,
হাতিয়াতে খালের জলে আজই বসান জোর পাহারা;
মন্ত্রী যাবেন সরেজমিন, অবস্থা কী দেখতে হবে
হরিণ যাবে রাষ্ট্রসংঘে, বান কি মুনের টেবিল টকে।


শেষ হয়ে যায় মহান সভা, হরিণ প্রজেক্ট মেলল ডানা
বাংলাদেশের সোনার হরিণ, কবির খাতায় আলমপানা।
লক্ষ কোটি টাকার ঘ্রাণে সভাকক্ষ ম ম করে
হরিণ রাজ্যে স্বাগতম, বর্ষা শেষে আইসো ঘুরে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//২২ জুন ২০১৫; সোমবার; ০৮ আষাঢ় ১৪২২//ঢাকার জীবন