কোন কান্না নয়, দুঃখ নয়, দুঃখবোধও নয়
এসব অঢেল ছলাৎছল-এ
মনে ভেসে যায় অপ্রত্যাশিত অথৈ এক গভীরতায়।
কী লাভ এ তপস্যায়!
তার চেয়ে ভালো-ভাসা প্রাণ বন্যায়
শ্রেয়-স্নান করা দুধ জোছনায়,
তারচে’ অনেক ভালো যান্ত্রিকতার ঐক্যতানে
কান ডুবিয়ে সময়কে ভুলে থেকে
                       এক জীবন পার করা।


দুঃখ আমাকে হরণ করেনি, বরণ করেছে
কষ্ট আমাকে নষ্ট করতে পারে নি, কিছুটা ভ্রষ্ট করেছে,
যন্ত্রণা আমাকে কুমন্ত্রণা দিয়েছে যথেষ্ট, পারেনি
কু-রটনা দিয়ে টলাতে বা কু-ঘটনায় দ্রবীভূত করতে।
এসব বুক দিয়ে ঠেলে-এসব মাথায় ভর করে
আমি অবিচল ঠায় দাঁড়িয়ে আছি, অপরাজেয়র মতো;
তাতে ক্ষতি যে কিছু হয়নি-তা বলা যাবেনা
                        সে পাল্লাও কম ভারী নয়।


কখনো চাঁদ নেমে গেলে, সারারাত জেগে, দু’চোখের আড়ালে,
কখনো হাওয়ারা পড়ে গেলে, রাতভর ঝিরঝিরে গান শুনিয়ে,
কখনো ভোরের সুঘ্রাণ, রাত জাগা ক্লান্তি নিয়ে ঘুমুতে গেলে
জেগে ওঠে ঘুমন্ত মন, মত্ত হয় মদিরার ভিতরে,
করোটির কীটেরা, মস্তিস্কের কোটি কোটি নিউরণ
           মেতে ওঠে স্মৃতির রোমশ বল নিয়ে,
           লোফালুফি খেলায়।


আমি কাত হয়ে পড়ে থাকি, পড়ে পড়ে দেখি
স্মৃতির ডালপালা, লতা গুল্ম অতি দ্রুত বেড়ে ওঠে
এসবই আমার- আবার আমার নয়।


অতিক্রান্ত সময়, অতিক্রান্ত জীবন, অতিক্রান্ত স্মৃতি
কখনো কি নিজের থাকে? কেউ জানে কি?
আমি জানি না।


অতিক্রম করে এগোনো এ জীবনে
কোন স্থবিরতা, স্থম্ভিততা গ্রহণ করিনা, মানি না।


এস, এম, আরশাদ ইমাম// ১০ জুলাই; শুক্রবার; ২৬ আষাঢ় ১৪২২//ঢাকার জীবন


[মূল লেখাঃ ২৫-১১-২০০৭, রবিবার, ৩য় প্রহর, ঢাকা]