>>>>>>>>>আকিঞ্চন<<<<<<<<<


বালি থেকে নুড়ি
নুড়ি থেকে কুঁড়ি
জ্বলে ওঠে কোন
অলৌকিক ছুরি
বসে যায় সময়ের বুকে, পোড়ে প্রাণ?
আলোকিত পৃথিবী, আগুন পুরান
উবু হয়ে গন্ধ শোঁকে হৃদপিন্ডের কাছে।
হে জিউস, প্রমিথিউসের প্রাণ।


আমি জীবন্মৃতের মতো পড়ে আছি তোমার বেদীমূলে
সেই এপিমেথেউসের কাল থেকে, কী পাবো না জেনে।


>>>>>>>>> আশা<<<<<<<<<<


জানি না কখন
ফাগুনের বাতাস এসে ধাক্কা দেয় জানালায়
পাখি এসে বলে যায়
‘‘ওঠ্, উঠে দ্যাখ্, বাইরে পরাগ উড়ছে,
                       রোদের ডানায় ডানায়!’’
আমি বিপ্রলদ্ধের মতো ছুটে যাই উঠোনে,
আর তারপর (আমার) বিস্ময়ের পালা!


আঙ্গিনা জুড়ে ভরে আছে তোমার স্মৃতির পাখিরা
লাল পাখি, নীল পাখি, হল্‌দে পাখি
আকাশ গঙ্গা সাঁতরে এসে ক্লান্ত যেনো, বড়ো
সময়ের ডালে ডালে ঠোঁট ঘষে ক্লান্তি মোছে
তাদের ঠোঁটে দেখি পরাগ স্ফুরণ।


আমি ফাগুনের হাত ধরে, হেরার উপহারে ভর করে
কুড়িয়ে নিলাম তার আরক আকিঞ্চন।।
.....................................................................


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫//শুক্রবার//২০ ভাদ্র ১৪২২//ঢাকা