বেদনার কিছু রং আছে,
যন্ত্রণার আছে কিছু কাঁটা,
আশাহত হওয়ায় বেদনা আছে,
আছে নিরাশার ঘনঘটা।


জীবনের এই মধ্য দুপুর পেরোনো সময়ে ধীরে ধীরে
শৈশব ফিরে আসছে, ডালপালা ছড়িয়ে যাচ্ছে
চিন্তার উষর রুখু বালিয়াড়ীতে, স্মৃতির ধুলিকণা
হঠাৎ কোন ঘটনার উড়ো হাওয়ার সাথে উড়ে উড়ে
দেখিয়ে দিচ্ছে ফেলে আসা সব কথকতা, প্রতিমুহূর্তে।
নিজেকে যতই নিপাট বুনন করি, সাজাই তকতকে
কোথা থেকে যেন অগণন হলাহল জমে ওঠে,
তবু এইসব পান করে, এতকিছু গায়ে মেখে
হেঁটে চলি পৃথিবীর পথে এবং সীমাহীন দ্বৈরথে।


তবু বেঁচে থাকি, কারণ
বেঁচে থাকার মাঝে আছে অসীম সম্ভাবনা
তবুও কাজ করে যাই, কারণ
কাজের মধ্য দিয়েই অঙ্কুরিত হয় সম্ভাবনার কিশলয়
তবুও স্বপ্ন দেখি, কারণ
স্বপ্নই পারে অসীমতাকে শতহস্তে স্পর্শ করতে।


এবং-
ভালবাসি, ঘর বাঁধি, পৌনঃপুনিক জীবন চক্রে নিযুক্ত হই
নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলি বৃত্তান্তহীন অসংখ্য বৃত্তে,
এভাবেই জীবন বেলা যায়, আবীর বিধৌত গোধুলীতে
সূপর্ণরা বালিয়াড়ী ফেলে নীড়ে ফেরে।
আর আমি –
সময়ের পদরেখা ধরে আপাতঃ গৃহে থেকে লোক-অলক্ষ্যে
ধীর অকম্পিত পায়ে হেঁটে যাই জনারণ্যে থেকেও
প্রবল প্রচ্ছন্ন কিন্তু নিশ্চিত নির্ধারিত কোন নির্জনে।


১০ মার্চ ২০১৬; বৃহস্পতিবার; ২৭ ফাল্গুন ১৪২২
স্ফুরিত সময়, অফিস//ঢাকা।