কেউ বলেনি কিছু, তবু প্রতিবাদে শূন্যে ছুঁড়ছে বজ্রমুষ্ঠি
কেউ শোনেনি কোন অশ্লীল উচ্চারণ, তবু বিক্ষোভে
ফেটে পড়ছে অকর্মণ্য মন, অকর্মণ্য চিন্তাযুক্ত প্রাণ
কেউ করেনি কোন যথেচ্ছাচার, তবু কল্পিত শত্রুর দিকে
উদ্যত শাণিত নাঙ্গা তরবারীর আস্ফালন,
কেউ দ্যাখেনি কোন অশোভন আচরণ, তবু রক্তের নেশায়
বেরিয়ে পড়ছে ডাকুলার রক্তচোষা দাঁত।


এভাবেই যদি চলতে থাকে কল্পিত শত্রুর দিকে তাক করে
অস্ত্রের ঝনঝনানি, যদি পুড়তে থাকে সবুজ মাঠ
যদি এভাবেই ঝরতে থাকে অনাবশ্যক রক্তধারা
যদি ভাংতে থাকে শান্তির সৌম্য সোপান
এদেশ, এ মাটি আর কত স’য়ে যাবে মুখ বুঁজে
আর কত নীরবে পুড়ে খাক করবে সুকোমলবৃত্তি!


কেউ কি চাইছে পোড়ামাটির ফলকে ঢেকে যাক সব
কেউ কি চাইছে কঙ্কালের স্তুপের উপর উড়ুক
চাঁদ-তারার ইসলামী ঝান্ডা, পরাজিত পাকিদের নিশান?
সময়ের ঘড়ি এগিয়ে চলেছে অন্তিম লড়াই-এর দিকে
শুনতে পাও সে অনাকাঙ্খিত ধ্বনিময়তা।
জেগে ঘুমালে ঘড়ি থেমে যাবে না,বাছা, আরেকবার
জাগতে হবে  বেঁচে থাকার টিকে থাকার এ লড়াই-এ।।