১.
অমৃত মন্থন থেকে উঠে
দেখি আশপাশ ভরে উঠেছে
        অবাধ্য হলাহলে;
আমার অমৃত সাধন সমূলে বিনাশ।


২.
ভাব সাগরে সাঁতার দিয়ে কূলে ভিড়ে
দেখি নিতান্তই ধূ ধূ বালুচর
ছড়ানো ছিটানো যাপিত জীবনের অস্থি-কঙ্কাল!
আমার ভাবনা ঢাকা পড়ে গেল বিচ্ছিন্ন অস্থির পর্বতে।


৩.
আত্ম জিজ্ঞাসার দীর্ঘ বৈঠক শেষে
নিজস্ব খেরোখাতার হিসেব মেলাতে বসি
লিখে যাই পাতার পর পাতা, কিন্তু
পলকা হাওয়ার তোড়ে ফিরে আসি শুরুর পৃষ্ঠায়!
ওখানটি এখনো শূন্য পড়ে আছে, প্রারম্ভিকা ছাড়া।


৪.
স্বপ্নকাব্যের চোখ নাক দাঁত এড়িয়ে
গেঁথে চলি ভবিষ্যতের মখমল গালিচা,
কিন্তু শীত গ্রীষ্মের দোলাচলে হারায় সবি,
থেকে যায় আমি-তুমি আর আমাদের জটিল
জ্যামিতিক সূত্র আর গাণিতিক সংখ্যাতত্ত্ব।


৫.
প্রবল কামনাকে বশীভূত করে, যখন
নির্বাণ-প্রস্থ হবার জন্য সব আয়োজন শেষ,
তখনই দপ করে নিভে যায়, উদ্ভাসিত প্রদীপ
নিজস্ব অন্ধকারে আড়মোড় ভেঙ্গে জেগে ওঠে
আমার ধ্যানভাঙ্গা দেবীর পবিত্র প্রসন্ন জমীন।


বট-পাকুড়//ঢাকা উত্তর//ঢাকা।
৩১ মার্চ ২০১৬/বৃহস্পতিবার/১৮ চৈত্র ১৪২২