যতটা তুমি কেড়েছ আমার থেকে
ততটা তোমায় দিতেই হবে ফিরে
গতকাল আমি হেরেছি তোমার কাছে
তাই বলে কি বার বার যাব হেরে?


সে রাতে ছিল ঈদের বাজারে মন
সুযোগ তুমি নিয়েছিলে ফাঁক বুঝে
আজকে মানুষ অতন্দ্র হয়ে আছে
যেখানে লুকাও, নেবেই তোমাকে খুঁজে।


আমার দেশের সোনার রক্ত স্রোত
ছেলের মায়ের ভায়ের বুকের ক্ষত
এখনো যায়নি শুকিয়ে অশ্রু ধারা
আলো হয়ে আছে জাগ্রত অবিরত।


এটা নয় কোন উন্নাসিকের দেশ
নয় এটা কোন আত্মমুখীন জাতি
এ জাতি জানে ভালবাসা কাকে বলে
ভালবেসে পারে দিতে আত্মহুতি।


তার সাথে কেউ লড়তে এসো না যেন
বিনাশ সমূলে, দেহ-প্রাণ নাভিমূলে
রক্তবীজের টগবগে তাজা গাছ
প্রস্তুত আছে নাওয়া খাওয়া সব ভুলে।


বিজয়ী না হওয়া অব্দি সে লড়ে যাবে
একবার যদি নেমে পড়ে ময়দানে
পালা তোরা পালা তোদের মরুর দেশে
বীর বাঙালী লড়ে জয় কেড়ে আনে।


হেরেছিস তোরা পঁয়তাল্লিশ আগে
তোদের বাপেরা জানিয়ে যায় নি সেটা
পরাজয়-কথা বলতে সে লাজে মরে
নিজেরা জেনে নে বাঙালীর জয় গাথা।


পরাজিতদের লেজুড়বৃত্তি রেখে
তওবা কর রে বাপের ভ্রান্তি ছেড়ে
সুপথ বেছে নে আজকে নতুন সময়
কী লাভ তোদের আবার যুদ্ধে হেরে!!


বট ও পাকুড় (অনিঃশেষ)/ঢাকা।
১১ শ্রাবণ ১৪২৩/মঙ্গলবার/২৬ জুলাই ২০১৬।


বিঃ দ্রঃ   আমার এই ৪০০ তম কবিতা ০১ জুলাই ২০১৬ রাতে ঢাকাস্থ গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তঁরায় নিহত দেশী ও বিদেশী অতিথিদের স্মৃতির স্মরণে নিবেদন। স্রষ্টা তাদের পার্থিব অপরাধ হত্যাকারীদের উপর ন্যস্ত করে তাদেরকে শুদ্ধ মানুষরূপে গ্রহণ করুন। আমীন।