ভাদ্রের রাতের আকাশ পরিচ্ছন্নই দেখছি
যদিও কোথাও একটা গুমোট হাওয়া ভাপ ছড়াচ্ছে।
শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগে পৌনে চার যুগেও
একটুও রঙের পোচড় পড়েনি, অপেক্ষায় স্যাঁতসেঁতে।
রাত আসে রাত যায়, নির্যাতনের অদৃশ্য শব্দগুলো
মহামায়া হোটেলের চারদেয়ালে বাসি হয়েও তরতাজা।
জানালায় মলিন পর্দা, মেঝেতে তেলাপোকার বিচরণ
অবাধ এবং অস্থিরতাময়, সেই কতকাল ধরে,
সেই জানালা ভেদ করে আজো আসেনি প্রকৃত আলোর
এক চিলতে স্তম্ভ, কুয়শাময় তার সকল ভোর।
এ অন্ধকার কাটার কাল আসবে কি কাল, ডালিম!


রাতজাগা পাখি শিস দিয়ে বলে যায় আর একটু ধৈর্য্য ধরো
অারেকটু রয়ে সয়ে থাকো সংক্ষিপ্ত কয়েকটি মুহূর্ত।
ভোর আসবেই আসবে, কর্ণফুলীর জলে আবার ঠিকই
অনাঘ্রাতা কলধ্বনি শুনতে পাবে, আগষ্টের এক ভোরে।


দূরপাড়ি হাওয়া এসে দিয়ে যায়, কাঁচামাটির সোঁদা গন্ধ
যে মাটি উপরের স্তরকে দাপটে সরিয়ে উঠে এসেছে
উপরে, কোন আপাতঃ নিথর কিন্তু প্রকৃত গলিত দেহকে
গর্ভে ধারণ করতে, পৃথিবীকে কালিমামুক্ত করতে।


হায়! প্রত্যাশিত ভোর, আর কত প্রতীক্ষা! সরিয়ে নাও
তোমার প্রহেলিকা, প্রস্ফুটিত করো আগামী সকাল।


২৪.০৮.২০১৬-ঢাকা-অভিজ্ঞান।