কুকুর ছিল মানুষ ছিল না, ছিল আগুন লেলিহান শিখা
পুড়ে গেছে স্বপ্ন, পুঁজি-সাধ, পুড়ে ভস্ম জীবনের সঞ্চয়
কী ছিল না দুইটি ছাদের নিচে, দুগ্ধ-খাবার, সবজী তৈজস
ছিল ভরা সংসারে যা লাগে, ঘর সাজানোর সকল বৈভব


মধ্যরাতের জ্বলে ওঠা আগ, হার মানেনি ছিল বাধাহীন
নতুন ভবন উঠবে জলদি অতি, প্রস্তুতিটাও বেশ দৃশ্যমান
যাই পুড়ুক, যারই পুড়ুক, পুড়েছে এই দেশের মালামাল
ধরছি হাজার চারেক কোটি, টাকার পণ্য পুড়ে দন্তমাজন।



পানি নাই, গাড়ী নাই, গাড়ী ঢোকার রাস্তা নাই
কারো কাছে নম্বর নাই, ফোন ধরার মানুষ নাই
প্রতি ফ্লোরে যন্ত্র নাই, নেভার উপায় জানা নাই
ভবন হলেও নকশা নাই, নকশা ছাড়া ভবন পাই
আগুন নেভার যন্ত্র ছাড়া নেভার পরিকল্পনা নাই
ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম নকশাকারীর জানা নাই
আগুন কিছু জানে না, নেতা কর্মী মানে না
কে ধরাল, ক্যামন করে সে সব জানা যাবে না।


শুধু জানি ভবন হবে, ধ্বসে পড়া ভবন স্থলে
চকচকে এক নতুন ভবন গড়ার পাটি মন্ত্র বলে
পুরান ভবন সরছে দ্রুত, রাতারাতি পরিস্কার
আগুন পানি গ্যাসের নকশা থাকে যেন আজ এবার।


(ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকান্ড)



মরছে মানুষ ঘরে বসেই কোন রকম কষ্ট ছাড়াই
মারছে যারা ঘুরছে তারা, তাদের দিকেই হস্ত বাড়াই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে কুকুর ঘোরে লেজ নাড়িয়ে
মনিব ঘোরে ফুটো পকেট, টাকার গণ্ধে কবর খোঁড়ে।


আইস বার্গের মাথা দেখে আত্মতুষ্টি বিপদ আনে
পুরান পাতা পড়ে দেখ কি ঘটেছে আজ বিয়ানে
দেয়াল লিখন পড়ে দেখো মানচিত্র হচ্ছে আঁকা
রোহিঙ্গা নয় মূল সমস্যা, মরার আগে মগজ ফাঁকা।


(মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন স্মরণেষু)


০৪ জানুয়ারি ২০১৭; মঙ্গলবার; ২০ পৌষ ১৪২৩//ঢাকা।