মনে রেখো
হে পৃথিবীর মানুষেরা
আজ পহেলা ফাল্গুন
"বাবা"র মৃত্যু বার্ষিকী।
দুইশত পনের কিলোমিটার জুড়ে
হেমলোক শীত খুনের চাদর বিছিয়েছে।
বাবা মারা গেছে পহেলা ফাল্গুনে,
আরিচা মহাসড়কে গেলে
এখোনো বাবার তাজা রক্তের গন্ধ পাই।
এনাম মেডিকেলে
সেদিন তোমার লাশ রিলিজ করলো,
আমি ছিলাম না, "বাবা "।
"তোমার মৃত মুখটা দেখতে চাইনি"
তিরিশ গোডাউনের পাশে নদীর পাড়ে যে বটগাছ
তার সাথে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ি
জেগে থাকে অপেক্ষারত কীর্তনখোলা।
ঘুম ভাঙ্গে বসন্ত ভোরে,
বাড়ি ফিরে আসি।
ফেরীতে করে আসে "বাবা"র লাশ,
দ্রুত কবর দিয়ে আসি জলাশয়ের ধারে,
যেন ঈশ্বর রাগান্বিত না'হোন।
"বাবা"র ওসিয়ত অনুসারে
বুক বরাবর বুনে দিই
খেজুর গাছের শাখা
পরিপূর্ণ খেজুর গাছটাকে
একদিন বাবা বলে ডাকি
দেখি "বাবা"র মৃত লাশের মতই
নিশ্চল,নিরুত্তর,জড় পদার্থ
সুখ নেই, দুঃখ নেই,ক্লান্তি নেই
না পাওয়ার চাহিদা নেই
অবিরাম শুধু শুনে যাচ্ছে
কবি পুত্রের আক্ষেপ ;
খেজুর গাছটা দিন দিন বড় হচ্ছে
"বাবা"কে ভুলে যাচ্ছি।
শুনেছি-" রোড এক্সিডেন্টে
কেও মারা যায় না
পথকে ঈশ্বর ভেবে সংগী করে নেয়। "