জানি জীবনে সুস্থিতির সঙ্গে
বিচ্যুতিও  সামিল হয়ে থাকে ঐকতানে,
কিন্তু তাই বলে সেগুলোর সূতো
একটু একটু করে ছাড়াব না কেন,
কেন অজানা আশঙ্কার মত বাড়তে দেব
তাকে---এক দিন অস্তিত্বে বিশাল ফাটল হয়ে
শাসন করবে বলে! নাকি তার কাছে
নিঃশর্ত সমর্পণই আমাদের অবশ্যম্ভাবী
ভবিতব্য!
প্রবল অনাবৃষ্টির মাঝে একটু তরল ধারাপাত
হলেই বা ক্ষতি কী? তাতে বিচ্যুতির গ্লানিরা
সব ধারাস্নানে শুচি হতে পারে।
দ্বেষ হিংসা ভ্রকূটি অসূয়া সব গলে গলে
শুদ্ধ হয়ে মাধুকরীতে বেরতে পারে।  
মাধুকরী মানেই তো আত্মঋদ্ধি,
আত্মহননের পাপ থেকে মুক্তি।


তাই আমার আমিকে বলি
‘নিঃসংকোচে হাত রাখো’,
তাই সবার সবাইকে বলি,
‘উত্তরের দিকে তাকাও,
একদিন না একদিন কালপুরুষ
দেখতেই পাবে, আর পেলেই দেখবে
লুব্ধক কেমন পালিত পশুর মত
তার পায়ের কাছে বসে ওম নিচ্ছে
নির্মোহ ভালোবাসার, শাশ্বত মূল্যবোধের।’


আর তখনই দেখবে ঘাস-জল-ফড়িং-শাপলা
পেরিয়ে কাজলা দিঘিতে পৌঁছে গেছে মন,
দাবদাহী গ্রীষ্মের রমণীয় অপরাহ্নে
অবগাহনে অবগাহনে পরিশুদ্ধ তথা
ঋদ্ধ হচ্ছে বিচ্যুতির ব্যসনগুলি,
তখন এক গণ্ডূষ জল চেয়ে নিতে দেখো
এতটুকু হাত কাঁপবে না, বুক কাঁপবে না
কোনও বুকে বুক রাখতে, কিংবা
কোনও মুখে মুখ।


এটাই জীবন, নিপাতনে নয়,
সহজসিদ্ধ, অনাবিল, অবিনশ্বর ও ঋজু।