অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী


জীবনের বোঝা টেনে চলা কঠিন
যেমন কষ্টের বোঝা
আর স্বপ্ন হারানোর বোঝা,
যেন পাথরকে বুকে নিয়ে এক বিন্দু
রক্তক্ষরণে এক চিলতে অর্থহীন বাস্তবতাকে
নির্বাক ঘুমন্ত অগ্নিকুণ্ডুতে খোঁজা |
দুর্দিনে কেউ সাথে থাকেনা
যেমন থাকেনা নিজের ভিতরের কংকাল,
কারণ সেইও তখন, দিন বদলের মহাপ্রলয়ে
পৃথিবীর সাথে পৃথিবীর মিলিয়ে চলে অংকের তাল
যেখানে স্বার্থ বড়, সত্যের আকাল |
শব্দহীন হয় জীবন
বিস্ময় তাকিয়ে থাকে,
মনে হয় সময় যেন থেমে গেছে কসাইদের জলসাঘরে
একদিন যেখানে গরুর গাড়িতে চড়ে
আনন্দরা হাসতো জীবনের খুঁনসুটি উঠোন ভরে ভরে |
সব সত্য যেন আজ মিথ্যে হয়ে গেলো
আপন হলো পর,.
আর খুব চেনা মুখগুলো তবুও সেদিন অচেনা
বিলাপ করে মনের তারাবাতি
যেন শব্দের আড়ালে শব্দের বোবা কান্নাকে কাঁচা পয়সায় কেনা
আর অযাচিত নরপিশাচের কাছে সত্যের বিসর্জনের দেনা |
খোঁজ বাহে কোনঠে সবাই
ডাকে উদাত্ত মহা সংগীত
তবুও মেলেনা মানুষের হাতে জীবনের সমীকরণ
মানুষ আসে আর যায়, রূপ বদলায় আর স্বপ্ন বিলাতে চায়
তারপরও দিনশেষে কিংবদন্তি জীবনের স্বপ্ন হরণ ,
আর স্বার্থের হাঁটে মুখোশের পিছনে
দাঁড়িয়ে থাকা মহানায়কের ট্র্যাজেডিকে দুহাতে বরণ |
কিন্তু কেন এমন হয়
যেখানে
সবাইতো লড়ছে জীবন গড়ার
দুঃসহ যন্ত্রনায়,
একদিন জীবন চলে যাবে না ফেরার দেশে
তবু কেন এই আরোপিত পরজীবীদের সাজানো
নাটকের পাত্র হয়ে মানুষের সাথে মনের লড়াই
আর নিজেকে জাহির করার কল্পিত বড়াই
যেন সময়কে চেপে ধরে নিজের বিবেক সরায় |
আজ আবার জীবনকে বোঝার চেষ্টা
মনে হলো সবাই বয়ে চলেছে প্রাণহীন জীবনের বোঝা
আবার কি আসবে ফিরে মৃত্যুপুরি থেকে
স্বপ্নের বাজারে বিবেকের মাজারে জীবন্ত মানুষদের
নতুন করে খোঁজা |
তবুও চোখ কাঁদে
পাপীরা খুঁজে পথ
পালাতে চায়
যদি জীবনের বদ্ধ জানালাটা আবার খোলা যায়
কোনো এক স্বপ্নদর্শীর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ
মানুষের ভালোবাসার চমকিত আঙিনায় |
দিন যায়, সময় গড়ায়
কালজয়ী জীবনের মূলমন্ত্রকে ধারণ করবার
স্পন্দিত চেতনায়
জাগো বাহে কোনঠে সবাই |