নদী ছুটে যায় দূর অজানায়, নেইক চলার শেষ,
বিধাতার গড়া ফুলে ফলে ভরা আমার বাংলাদেশ।
পদ্মা,মেঘনা, তিস্তা, যমুনা কত যে হাজার নদী–
কলকল তানে যেন গানে গানে বহে চলে নিরবধি।
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি করে ডাকাডাকি উড়ে যায় দূরে
দিনের শেষে সন্ধ্যা এসে ছায়া নামে ধীরে ধীরে।
গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় ঐ পাড়াগাঁয় বাজে রাখালের বাঁশি,
ভোর বেলা ওঠে লাঙ্গল কাঁধে মাঠে যায় চাষী।
মাঠে দেখে ধান গান আর গান কৃষকের মুখে,
সকলে মিলেমিশে অকৃত্রিম ভালবেসে আছে মহাসুখে।
শরতের সকালে দূর্বা যেন শিশিরে শিশিরে বোনা,
দেখে মনে হয় কে এঁকেছে নিশ্চয় যেন মুক্তার আলপনা।
গাঙপাড়ে উড়ে উড়ে গপ্‌ করে মাছ ধরে কত গাঙচিল।
ঐযে  চাঁদের আলো দেখতে কিযে ভাল,করে ঝিলমিল।
এই বাংলার মত আর দেখি নাতো বিশ্বে এত রূপরাশি,
তাইতো আমি আমার এ জন্মভূমি খুব বেশি ভালবাসি।
যদি লক্ষ কোটি বছর পরেও থাকে এই দেশ–
খোদার কাছে প্রার্থনা করি থাকে যেন এই পরিবেশ।