এই যে আমার বসে থাকা
সারাটা দিন একলা একা;
জানলা ধারে বাঁশের ঝাড়ে
শন-শন-শন শব্দ করে,
বুকের মাঝে জমাট ব্যাথা
প্রকাশ করে আকুলতা।


মিথ্যা আমার সকল কিছু
যা ছিল সব আমার পিছু ,
যা নেই আজ আমার কাছে
ছুটছি তবু তারই পিছে
              মিছে মিছে.....
যা নেই আজ আমার কাছে।


ঐ যে  ভ্রমর গুন-গুন-গুন
কে বাজায় ঐ বাঁশীতে ধূণ;
কে যায় মোর পথটি ছেড়ে
কে দেয় অনল হৃদয় নীড়ে।
এই যে দেখ বক্ষে আমার
জমছে কত স্মৃতির পাহাড়,
বাড়ছে দুঃখ ক্রমাগত
ভাঙ্গছে স্বপ্ন অবিরত।


ভাঙ্গলো আমার বুকের পাঁজর
হতাশ মনের উদাস নজর;
রঙিন স্বপ্ন সাদা-কালো
যেমন আছি তেমনই ভালো।
কী আর হবে সুবাতাসে
কাটবে যে দিন হা-হুতাশে,
নাইবা পেলাম ঘাঁটের দেখা
ছুটবো মিছে একা একা।

যে দিক পানে সবেই ধায়
তারই মাঝে পাবে আমায়,
তারই মাঝে আমার এ সুর
নিয়ে যাবে দূর-বহুদূর।
যাব চলে এঁকে বেঁকে
অনেক দূরে এখান থেকে,
পেছন থেকে ডাকবে না কেউ
কাঁদবেনা কেউ,জাগবেনা ঢেউ।


তবু আমি একাই যাবো
সঙ্গী না’হয় নাইবা পাবো;
কালো মেঘে ডাকে দেয়া
পায়না কূল আমার খেয়া,
তবু আমি সেথায় যাই
কূল-কিনারা পাইবা নাপাই।

আবার আমি ফিরে এসে
অথৈ জলে ভেসে ভেসে;
কাটে রাত্রি-দিবা-প্রহর
কেউ হলোনা আমার দোসর,
নাইবা হলো কি তায় ক্ষতি
ঝড়ে না’হয় নিভলো বাতি।


ঝড় ফুরোলে আবার কি হায়
নতুন শিখা জ্বলবে হেথায়;
যে জন জ্বালায় তারই জ্বলে
কেউ বা আবার যায় বিফলে,
তাইতো আমি হিসাব কষি
একলা থাকার দিনে বসি।।