কাল বিকেলে তোমাকে দেখলাম
আমার শরীর-মন দুটোই খারাপ ছিলো
তাই ডাকিনি;
বেশ প্রাণবন্ত আর সজীব লাগছিলো তোমায়-
পুরো অবয়ব জুড়ে ছিল গোধূলির স্নিগ্ধতা,
কবি মুগ্ধ না হয়ে পারেনি।
সে কী মায়া,সে কী পবিত্রতা-
গোধূলির আলো তার কাছে হার মেনে গেলো,
কবির মনটা আরও খারাপ হতে থাকলো......
কবির ইচ্ছে করছিলো সদ্য গাছ থেকে তোলা
একগুচ্ছ আধফোঁটা বেলী ফুলের মালা জড়ায়
তোমার খোঁপায়।
কিন্তু পরাতে গেলে যদি মালার সূতো ছিঁড়ে যায়
তাই সে কাছে যায়নি;
দুর থেকেই দেখেছে তাঁকে
আর মনে মনে বলেছে-
সুন্দর তুমি আরও সুন্দর হও,
সুরভী ছড়াও আমার প্রিয় হাস্নেহেনার মত
গভীর নিশীথে।
নিশীর বাতাসে আমার দীর্ঘশ্বাস ছড়িয়ে পড়ুক
গহীন অন্ধকারে।
অন্ধকার গ্রাস করুক আমার মৃত্যুকে,
কেননা  আমি বাঁচতে চাই আরও দীর্ঘকাল-
দেখতে চাই সময় কতটা নির্দয় হতে পারে;
তোমার প্রগাঢ় চাহনির নিষ্ঠুরতায়,
তোমার চোখের বিশ্বাসের ছায়ায়,
তোমার হাতের মৃদু স্পর্শে।

হেঁটে যেতে চাই সোজা দীর্ঘ একটি পথ ধরে
যে পথের এক প্রান্ত থেকে স্পর্শ করে চলেছে
তোমার মায়াবী চোখের চাহনি.........
আর আমার অস্তিত্ব বিলীন হবে দিগন্তে ।।


(বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার প্রিয় বন্ধু সাদিয়া মেহেজাবিনকে উৎসর্গ করলাম।)