তোমার আমার এই মধুর দেখা
কোন যেনো এক ক্ষনে
স্রোতের মতো ভেসে এসে যায়
মনের কোন এক কোনে।
বাঁশবাগান আর হিজল দিঘি
বটগাছের ওই তলে
তুমি ছিলে সেথা ডাকাতবাবু
আমিতো চোরের ছলে।
পাঠশালার ওই ছড়ার সুরে
ষোলগুটির ওই চালে
তোমার আমার এই পরিচয়খানি
তাই যেনো শুধু বলে।


হটাত করে দেখবার পরে
মনে মনে শুধু ভাবি
ছায়ারূপে যেনো ভেসে এসে যায়
তোমার মায়াবী ছবি।
গাঁয়েতে ভরা ধুসর পশম
মাথায় খানিক চুল
মায়াবী রূপে দিতেতো হাসি
কখনও হতো না ভুল।
সেদিন যেনো দেখেছি তোমায়
এই কিছুদিন আগে
বিশটি বছর পার হয়েছে
ভাবতে অবাক লাগে।


তুমিতো ছিলে কচি চেহারার
ফরিদ চাচার ছেলে
বাটামুখ আর নীলাভ চোখে
তুমিতো মায়াবী ছিলে।
সকলে তোমায় করতো আদর
আমি থাকতাম পিছে
সকলে অমন কেনো করতো
আমারওতো ভাগ আছে।
হাটের হইতে বাতাসা এনে
সকলে তোমাকে দিতো
কাঁদতে কাঁদতে ভাবতাম আমি
কেনো যে অমন হতো।


এতোদিন পর বন্ধু তুমি
কোথা হতে ভাই এলে
এতোটা বছর দেখা না দিয়ে
কেমন করে যে ছিলে।
হিজল দিঘির ওই পারেতে
ছোট্ট আমার ঘর
তোমার আমার এই বন্ধনখানি
চিরদিন হোক অমর।