বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে
অগ্রগণ্য এক বীর মতিউর রহমান
দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
তিনি নির্দ্ধিধায় দিয়েছেন প্রান।
২৯শে অক্টোবর ১৯৪১ সালে
ঢাকায় তিনি জন্মলাভ করেন
তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে
তিনি ১৯৬১ সালে যোগদান করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার স্বপ্ন ছিলো
জঙ্গিবিমান নিয়ে দেশে পালিয়ে আসার
আর তা দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে
দেশকে সহযোগীতা করার।  
সেসময় বাঙ্গালী সেনা পাইলটদের
বিমান উড্ডয়নের অনুমতি ছিলো না
তবে বিমানের কাছে গিয়ে তাদের
প্রশিক্ষন দিতে বাঁধা দেওয়া হতো না।
১৯৭১ সালের ২০শে আগষ্ট
সেই দিনটি শুক্রবার ছিলো
সিডিউল মতো পাইলট মিনহাজের
বিমান উড্ডয়নের পালা হলো।
মতিউর সেদিন সময়মতো এসে
রানওয়ের পূর্বপাশে পৌছেছিলো
কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি পেয়ে মিনহাজ
বিমানকে এগিয়ে নিতে শুরু করেছিলো।
মতিউর বিমানের ত্রুটি ইশারা করে
মিনহাজকে তা থামাতে বলেন
মিনহাজ বিমান থামালে মতিউর
বিমানে লাফ দিয়ে উঠেন।
হাতের ক্লোরোফরম দেয়া রুমাল দিয়ে
মিনহাজকে অজ্ঞান করে ফেলেন
কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি দেওয়া থাকাতে
তিনি বিমান নিয়ে আকাশে উঠে পরেন।
রাডারকে ফাঁকি দিতে পাহাড়ের আরালে
তিনি নিচ দিয়ে  বিমান চালাচ্ছিলেন
সবকিছুকে ফাঁকি দিয়ে ভারত সীমানার
একেবারে নিকটেও তিনি পৌছেছিলেন।
ওদিকে মিনহাজ জ্ঞান হারাবার আগে তা
কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানাতে পেরেছিলো
চারটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার
তাই মতিউরের পিছনে ছুটছিলো।
ভাগ্য খারাপ হওয়ায় মিনহাজের
শেষ মূহুর্তে জ্ঞান ফিরে আসে
সে মতিউরের সাথে ধস্তাধস্তি করে
বিমানের ইজেক্ট সুইচে চাপ দিয়ে বসে।
সাথে প্যারাসুট না থাকায় ছিটকে পরে
মতিউর তখন প্রান হারায়
আর নিয়ন্ত্রনহীন বিমানটি ভারত সীমানার
তিন মিনিট দুরত্বে বিদ্ধস্ত হয়ে যায়।
বিদ্ধস্ত বিমানে মিনহাজকেও
সেদিন প্রান দিতে হয়
তবে মাত্র তিন মিনিট ব্যবধানে
মতিউরের স্বপ্ন এভাবেই অসম্পূর্ণ রয়।
বাঙ্গালীদের স্বাধীনতার আদম্য ইচ্ছা
তিনি পাকিস্তানীদের দেখিয়ে দিয়েছিলেন
তার এই ত্যাগের কারনে তিনি
'বীরশ্রেষ্ঠ' উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।


সবাইকে জানাই মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।