এইডস একটি মরনব্যাধি
যাকে করা যায় না প্রতিকার
এইডস রোগের কোন চিকিৎসা
এখনও হয় নি আবিষ্কার।
এটি একটি সংক্রামক রোগ
যা আসে অন্যের কাছ থেকে
তাই সচেতনতার মাধ্যমেই
এর থেকে বাঁচানো যায় নিজেকে।
এইডস রোগের এই ভাইরাসটিকে
এইচআইভি ভাইরাস বলা হয়
আর এর কারনে শরীরের ভেতর
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়।
এই কুখ্যাত ভাইরাস সংক্রমনের
রয়েছে কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষন
যেগুলো এই কবিতার পাঠকদের
অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন।
লক্ষনগুলোর মাঝে হতে পারে
হটাত জ্বর হয়ে যাওয়া,
শরীরে লালচে দানাসহ
ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেওয়া।
লসিকাগ্রন্থি ফুলে উঠা,
মাথায় ব্যাথা অনুভব হওয়া
কিংবা আরেকটি লক্ষন হতে পারে
হটাত গলা ভেঙ্গে যাওয়া।
আর ভাইরাস সংক্রমনের কিছুদিন পরে
অস্থিসন্ধি ফুলে যেতে পারে
ডায়রিয়া, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ
শরীরের ওজন কমে যেতে পারে।
আর রোগটি চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছালে
রাতের বেলা খুব ঘাম হতে পারে
কয়েক সপ্তাহ ধরে ১০০ ডিগ্রির ওপর
জ্বরের সাথে কাঁপুনি হতে পারে।
শুকনা কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা
কিংবা দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া হতে পারে,
মুখ অথবা জিহ্বা বেঁকে যাওয়াসহ
শরীরে সাদা দাগ পরে যেতে পারে।
তিন মাসের বেশি সময়
অস্থিসন্ধি ফুলে থাকতে পারে
সবকিছু অস্পষ্ট ও বিকৃত দেখাসহ
তীব্র অবসাদ অনুভব হতে পারে।
এটি মুলত ছড়ায় এইচআইভিযুক্ত
শারিরীক অঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে
আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত ব্লেড, সুচ
কিংবা সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে।
আক্রান্ত রোগীর গর্ভ হতে
পৃথিবীতে জন্মলাভ করলে
কিংবা আক্রান্ত রোগীর সাথে
দৈহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হলে।
তবে রোগীর থালায় খাওয়া খেলে
এই রোগ কখনো ছড়ায় না
এমনকি একই বাথরুম ব্যবহারেও
এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয় না।
এই রোগটি বায়ুবাহিত কোন প্রকার
কোন ছোয়াচে রোগও না
রোগীর সাথে এক বিছানায় ঘুমালেও
তাই কেউ এইডসে আক্রান্ত হয় না।
নিশ্চিত মৃত্যুর এই রোগটির
একমাত্র প্রতিষেধক হলো সচেতনতা
তাই নিজে সচেতন থেকে সবার উচিত
অন্যের কাছেও পৌছানো এর বার্তা।