বর্ষার জলে যখন
চারদিক থৈ থৈ করতো
গাঁয়ের ছেলেদের মাঝে তখন
মাছ ধরার রেশ পরে যেতো।
আমি কখনও ভাই-বোন
কখনও বন্ধুদের নিয়েও ধরতাম
দুপুরে গোসলের আগ অবধি
কেবল মাছ ধরে যেতাম।
হালকা জলের মাঝে হলে
একপাশে জাল বিছিয়ে নিতাম
তারপর আরেকপাশ থেকে পানি সেচে
জাল হতে মাছগুলো ধরতাম।
আর কাঁদার মাঝে হলে
হাত দিয়েই মাছ ধরতে হতো
হাটু সমান কাঁদায় নেমে
কিছুটা বেগও পেতে হতো।
টাকি, পোনা, কই, মাগুরসহ
আরো অনেক ধরনের মাছ পেতাম
আর মাছ ধরা শেষ হলে
নদীতে গোসল করে বাড়ি ফিরতাম।
তবে থৈ থৈ জল হতে
বরশি বিছিয়ে মাছ ধরতে হতো
আর তখন ছোট মাছের বদলে
বরশিতে বড়ো মাছেরা উঠে আসতো।
টিফিনের টাকা জমিয়ে তখন
কষ্ট করে বরশিটা কিনতাম
আর মাছ উঠা মাত্রই
আনন্দে আত্নহারা হয়ে যেতাম।
ঘরে ফিরে সেদিন মায়ের তরকারি
আর খেতে চাইতাম না
নিজের ধরা মাছগুলো কড়া করে
মাকে দিয়ে করাতাম ভুনা।
তাজা মাছ ভুনার সেই স্বাদ
আজো যেনো মুখে লেগে আছে
আর সেই দিনগুলো সোনার মতো
আজো স্মৃতিতে রয়ে গেছে।