কে তুমি হে রমনী?
শত সহস্ত্র আলোকবর্ষ  শেষে
শিয়রে এসে দাঁড়ায়েছ আমার,
ধীর পদক্ষেপে সন্নিহিত হয়েছো
শান্ত কন্ঠস্বরে ছন্দবিহীন ঝঙ্কারে
শায়িত রয়েছো।


কে তুমি হে মানবী?
যার কোমলতা ধ্বংস করে দেয়
ছিন্ন করে দেয় আত্মীয়তার বন্ধন,
হৃদয়ে কার্পণ্য সৃষ্টি করে তীব্র আশা যোগায়
আর স্বপ্ন দেখায় দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার,
লোভ দেখায় বস্তুগত্ যা কিছু ধ্বংসশীল
তুমি কি তাদের একজন?


কে তুমি হে ভবিষ্যৎ জননী?
আমাকে দিয়েছো পুরুষত্বের সম্মান
চঞ্চল অস্থির চিত্তকে করেছো শান্ত,
তোমার স্থির দু চোখে অসংখ্য বার্তা লেখা আছে
আমি সেখান থেকে শব্দ ধার করে কবিতা লিখি
লেখা আছে আরো দৃঢ় হও ইস্পাতের মত।