(কবিতা নয় এটা, রানা প্লাজায় কয়েকজনের বাঁচার আকুতি)


ভাই আমার মাকে বইলেন,আমাকে মাফ করে দিতে,আমার বাড়ি পিরোজপুর,হুলার হাট।
ভাই আমি মারা গেলে লাশ টা বাড়িতে পাঠাইয়েন!
ভাই দরকার হলে আমার পা কেটে বের করেন তবুও আমাকে বাঁচান,
আমি আর এই যন্ত্রনা সইতে পারিনা।
ভাই আমাকে একটা হাতুড়ে দেন,আমি নিজেকে বের করতে পারব।
শ্বাস নিতে পারছিনা,লাশের গন্ধে মারা যাবো,
ভাই একটু অক্সিজেন আনতে পারবেন।
ভাই আমাকে এখান থেকে বের করেন,
আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে,
ওর জন্য আমাকে বাঁচান ওরে দুধ খাওয়াতে হবে।
অতি সাধারন মানুষের বাঁচার আকুতি!
ওরা কোটি কোটি টাকা,বাড়ি ও গাড়ি চায় না।
শুধু প্রিয় মুখ গুলোরকাছে ফিরে যেতে চেয়েছিল।
আমরা কি আগামীতে এই দৃশ্য বার বার দেখার অপেক্ষায় আছি?
নাকি আমরা পারবো এই ইতিহাস এখানেই থামিয়ে দিতে!
হৃদয়ের আর্তনাদে কাতর আমার প্রিয় বাংলাদেশ,
বলে উঠে আমার মন আর্তনাদে-
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া,
করিতে পারিনি চিৎকার!!
কেন জানি অঝরে ঝরে চোখের জল!


স্মরণ : শ্রদ্ধাভরে আজ গভীর মমতায় স্মরণ করি রানা প্লাজায় নিহত সকল বিদেহী আত্মাকে।