মনের ভাবনার প্রজ্ঞায়, চিরতরুণ নজরুল জেগে থাক,
বাধাকে জয় করে, নজরুলের আদর্শে জীবন এগিয়ে যাক।
সম্মুখের দিকে এগিয়ে যাবো, নব নব সব উদ্যমে,
মানব সমাজের নতুন সৃষ্টির, জয় যাত্রার সীমা চরমে।
সমাজ, দেশ, ধর্মে, সমান তালে রাখবো অবদান,
থাকবো সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে, পাবো মহাসম্মান।
বাংলাকে ভালবেসে, মুখে গাই নজরুলের সাম্যের গান,
বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান।
যুদ্ধের মাঠে সৈনিক হবো, হাতে অস্ত্র, কলমের ধার,
নতুনের আবাহনে, পরিবর্তনে রবো নিরবধি সোচ্চার।
মনের বিদ্রোহী প্রেরণায়, আশার আলোয় জেগে থাক নজরুল,
গুণের ভারে জ্ঞানের তাপস হবো, হয়না যেন কখনো কোন ভুল।
কবির শুভ জন্ম দিনে,কাব্য গড়ে, শ্রদ্ধা জানাই আজ,
মানব সমাজ জেগে উঠুক, পড়ে নব সৃষ্টির তাজ।
প্রীতি সাম্যের চেতনা নিয়ে, হাজারো নজরুল জেগে উঠুক,
সাম্যের কবি, ভালবাসা নিয়ে, সবার হৃদয়ে ফুল হয়ে ফুটুক।
চেতনায় জেগে থাক, নব সাজে সজ্জিত, কবি নজরুল,
তবে বাংলা হবে, দেশ বাগিচা, আমরা যে তার ফুল।



*আজ ১১ ই জৈষ্ঠ ১৪২১ বঙ্গাব্দ (২৫ মে ২০১৪ ইং) আমাদের জাতীয় কবি, বিদ্রোহী কবি, রেঁনেসা এবং সাম্যবাদী চেতনার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ক্ষনজন্মা এই প্রতিভাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ভাষা এবং যোগ্যতা কোনটিই নেই আমার। জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবির কিছু সৃষ্টি কবি বন্ধুদের সামনে তুলে আনার জন্য আজ আমার এই আয়োজনঃ


* বিদ্রোহী কবির পুরো নাম – কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
* ডাক নাম “দুখু মিয়া”
* জন্ম – ১১ই জৈষ্ঠ্য, ১৩০৬ (বাংলা), ২৪মে ১৮৯৯ (ইংরেজি)।
* জন্মস্থান – ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
* পিতার নাম – কাজী ফকীর আহম্মদ।
* মাতার নাম – মোসাম্মাৎ জাহেদা খাতুন।
* শিক্ষাকাল – প্রথমে গ্রামের মক্তব, পরে রানীগণ্জ সিয়ার-সোল হাই স্কুল, মাথরুন ইংরেজী উচ্চ বিদ্যালয়, দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়,(ত্রিশাল)।
* আশ্রয় দাতা – কাজী রফিজ উল্লাহ (তৎকালীন পুলিশ ইন্সপেক্টর)।
* কর্মস্থল -এস,রকসের চা-রুটির দোকান,প্রসাদপুর গার্ড সাহেবের বাসা, ৪৯ বাঙ্গালী পল্টন।
* বিয়ে – ২৫শে এপ্রিল, ১৯২৪ ইংরেজী।
* স্ত্রী’র নাম – প্রমীলা সেনগুপ্তা, ডা নাম- দুলী।
* প্রমীলার জন্ম – ২৭শে বৈশাখ, ১৩১৫ বাংলা।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর শ্বশুর – শ্রী বসন্ত কুমার সেনগুপ্ত।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর শ্বাশুড়ী – শ্রীমতি গিরিবালা দেবী।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রথম সন্তান – অরিন্দম খালিদ ,ডাক নাম-বুলবুল।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর কনিষ্ঠ পুত্র – কাজী অনিরুদ্ধ, ডাক নাম – লেনিন বা নিনি।
* সাহিত্য চর্চা কাল – ১৩২৬ হইতে ১৩৪৯ বাংলা।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রথম প্রকাশিত কবিতা – মুক্তি।
* প্রথম গল্প – বাউন্ডেলের আত্ম কাহিনী।
* প্রথম প্রবন্ধ – তুর্কী মহিলার ঘোমটা খোলা।
* প্রথম উপন্যাস – বাঁধন হারা।
* সর্বশ্রেষ্ঠ (সাধারণ মানুষের বিবেচনায়) কবিতা – বিদ্রোহী।
* কাজী নজরুল ইসলাম এর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ – ভাঙ্গার গান, অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, চক্রবাক,রিক্তের বেদন, ব্যাথার দান, প্রলয় শিখা, আলেয়া প্রভূতি।
* বাল্য রচনা – মেঘনাদ বধ, চাষার সঙ, শুকনী বধ, দাতাকর্ণ রাজপুত্র, কবি কালিদাস, আকবর বাদশাহ প্রভূতি।
* কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা – ধুমকেতু।
* ধুমকেতু’র প্রথম প্রকাশ – ১৭ই মে,১৯২৩ ইংরেজী।
* কাজী নজরুল ইসলাম অভিনীত প্রথম ছায়াছবি – ধ্রুব।
* নজরুল গীতির সংখ্যা – তিন হাজারের উপরে।
* জাতীয় খেতাব – ‘জগত্তারিণী’ ও ‘পদ্মভূষণ’। ১৯৪৫ সালে কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জগত্তারিণী’ এবং ১৯৬০ সালে ভারত সরকার ‘পদ্মভূষণ’ স্বর্ণ পদকে সম্মানিত করেন।
* মৃত্য বরণ – ২৯শে আগষ্ট, ১৯৭৬ ইংরেজী তারিখে ঢাকায় মৃত্য বরণ করেন।


“যদি আর না ফিরি” শিরোনামে কবির ভাষণটি। কবি নির্বাক হওয়ার আগে এটিই সম্ভবত শেষ বক্তব্য-
বন্ধুগন,
আপনারা যে সওগাত আজ হাতে তুলে দিলেন তা আমি মাথায় তুলে নিলুম। আমার সকল তনুমন প্রান আজ বীণার মতো বেজে উঠেছে, তাতে শুধু একটি মাত্র সুর ধ্বনিত হয়ে উঠেছে-আমি ধন্য হলুম, আমি ধন্য হলুম। আমায় অভিনন্দিত আপনারা সেইদিনই করেছেন, যেদিন আমার লেখা আপনাদের ভাল লেগেছে। বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের যুগে আমি অন্মগ্রহন করেছি। এরি অভিযান সেনাদলের তুর্য বাদকের আমি একজন,এই হোক আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়।
আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলেই আমি এই দেশেরই এই সমাজেরই নই,আমি সকল মানুষের। কবি চায়না দান,কবি চায় অঞ্জলী কবি চায় প্রীতি। সুন্দরের ধ্যান, তার স্তব গানই আমার ধর্ম।তবু বলছি আমি শুধু সুন্দরের হাতে বীণা পায়ে পদ্মফুলই দেখিনি,তার চোখে চোখ ভারা জলও দেখেছি। শ্বশানের পথে, গোরস্থানের পথে ক্ষুধা দীর্ন মুর্তিতে ব্যথিত পায়ে তাকে চলে যেতে দেখেছি, যুদ্ধভূমিতে তাকে দেখেছি,কারাগারের অন্ধকূপে তাকে দেখেছি,ফাঁসির মঞ্চে তাকে দেখেছি।
আমাকে বিদ্রোহী বলে খামাখা লোকের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। এই নীরিহ জাতটাকে আছড়ে-কামড়ে তেড়ে নিয়ে বেড়াবার ইচ্ছা আমার কোনদিনই নেই। আমি বিদ্রোহ করেছি বিদ্রোহের গান গেয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ যুদ্ধ বিগ্রহ, মানুষের জীবনের একদিকে কঠোর দারিদ্র-ঋন-অভাব, অন্যদিকে লোভী অসুরের যক্ষের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা পাষান স্তুপের মত জমা হয়ে আছে। এই অসম ভেদ জ্ঞানকে দূর করতেই আমি এসেছিলাম। আমার কাব্য, সংগীতে কর্মজীবনে অভেদ সুন্দর সাম্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম। আমি যশ চাইনা খ্যাতি চাইনা প্রতিষ্ঠা চাইনা নেতৃত্ব চাইনা। জীবন আমার যত দুঃখময়ই হোক আনন্দের গান,বেদনার গান গেয়ে যাব আমি। দিয়ে যাবো নিজেকে নিঃশেষ করে সকলের মাঝে বিলিয়ে, সকলের বাঁচার মাঝে থাকবো আমি বেঁচে। এই আমার ব্রত এই আমার সাধনা এই আমার তপস্যা।
রবীন্দ্রনাথা আমায় প্রায়ই বলতেন, “দেখ উন্মাদ তোর জীবনে শেলীর মত,কীট্‌সের মত খুব বড় একটা ট্র্যাজেডি আছে-তুই প্রস্তুত হ”,জীবনের সেই ট্র্যাজেডি দেখবার জন্য কতদিন অকারনে অন্যের জীবনকে অশ্রুর বরষায় আচ্ছন্ন করে দিয়েছি। কিন্তু আমার জীবন রয়ে গেল বিশুদ্ধ মরুভূমির মত তপ্ত। আমার বেশ মনে পড়ছে একদিনের আমার জীবনের মহা অনুভূতির কথা- আমার ছেলে মারা গেছে, আমার মন যখন তীব্র পুত্রশোকে ভেঙ্গে পড়েছে ঠিক সেই দিনে সেই সময়ে আমার বাড়ীতে হাস্নাহেনা ফুটেছে। আমি প্রানভরে সেই হাস্নাহেনার গন্ধ উপভোগ করেছিলাম। আমার কাব্য আমার গান আমার জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জন্ম নিয়েছে। যদি কোনদিন আপনাদের প্রেমের প্রবল টানে আমাকে আমার একাকীত্বের পরম শুন্য হতে অসময়ে নামতে হয় তাহলে সেদিন আমায় মনে করবেন না আমি সেই নজরুল; সেই নজরুল অনেকদিন আগে মৃত্যুর খিড়কি দুয়ার দিয়ে পালিয়ে গেছে। মনে করবেন পূন্যার্থের তৃষা নিয়ে যে একটি অশান্ত তরুন এই ধরায় এসেছিল অপূর্ণতার বেদনায় তারই বিগত আত্না যেন স্বপ্নে আমাদের মাঝে কেঁদে গেল।
যদি আর বাঁশি না বাজে- আমি কবি বলে বলছিনা, আপনাদের ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি-আমায় আপনারা ক্ষমা করবেন আমায় ভুলে যাবেন। বিশ্বাস করুন আমি কবি হতে আসিনি আমি নেতা হতে আসিনি,আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম। সেই প্রেম পেলামনা বলে আমি এই প্রেমহীন নীরব পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম। যেদিন আমি চলে যাব সেদিন হয়তোবা বড় বড় সভা হবে, কত প্রশংসা কত কবিতা হয়ত বেরুবে আমার নামে,দেশপ্রেমিক-ত্যাগীবীর-বিদ্রোহী বিশেষনের পর বিশেষন, টেবিল ভেঙ্গে ফেলবে থাপ্পর মেরে,বক্তার পর বক্তা এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে-বন্ধু তুমি যেন যেওনা। যদি পার চুপটি করে বসে আমার অলিখিত জীবনের কোন একটি কথা স্মরণ করো, তোমার আঙ্গিনায় বা আশেপাশে যদি একটা ঝরা পায়ে পেষা ফুল পাও সেইটিকে বুকে চেপে বলো, বন্ধু আমি তোমায় পেয়েছি—-
“তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিবনা
কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা
নিশ্চুল-নিশ্চুপ আপনার মনে পুড়িব একাকী
গন্ধ বিধুর ধূপ”


মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই


মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।


আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গোর – আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।


কত পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত
ঐ মসজিদে করে রে ভাই, কোরান তেলাওয়াত।
সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।


কত দরবেশ ফকির রে ভাই, মসজিদের আঙ্গিনাতে
আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে,
আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে
(আল্লার নাম জপতে চাই) ।।


– কাজী নজরুল ইসলাম–


এই কবিতায় তার অন্তিম ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তার এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তাঁর সমাধি রচিত হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে অন্তিম শয়নে কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


“আমি চিরতরে দূরে চলে যাব,তবু আমারে দেব না ভুলিতে” _ এই আত্মপ্রত্যয় ছিল যার মরণোত্তর অস্তিত্ব নিয়ে,তিনি চিরবিদ্রোহী,চিরবিরহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।


প্রেমে ও বিদ্রোহে, কোমলে-কঠিনে গড়া এক আশ্চর্য প্রতিভার নাম কাজী নজরুল ইসলাম।আজও দ্বিধাবিভক্ত সমাজে, শোষক আর শোষিতে বিভক্ত পৃথিবীতে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, গান, প্রবন্ধ, গল্প-উপন্যাসসহ বিচিত্র রচনা মানবমুক্তির প্রেরণা জোগায়। তাই যথার্থ অহঙ্কারেই তিনি বলতে পেরেছিলেন ‘আমারে দেব না ভুলিতে’।


জাতীয় কবিকে কখনও ভোলা সম্ভব নয়। বাংলা কাব্যে আর গানে যে নতুন জোয়ার তিনি এনেছেন, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য যে অবিস্মরণীয় প্রেরণাসঞ্চারী দ্রোহের বাণীতে উচ্চকিত করে তুলেছেন অবিভক্ত বাংলার কোটি কোটি মানুষের চিত্ত, সে বাণীর শাশ্বত দর্শন চিরপ্রাসঙ্গিক। ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসক-শোষকদের ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দিয়েছিল তার আগুন ঝরানো কবিতা আর শেকল ভাঙার গান। ‘বিদ্রোহী’ ‘অগি্নবীণা’, ‘বিষের বাঁশী’, ‘ফণীমনসা’, ‘ভাঙার গান’, ‘সাম্যবাদী’, ‘প্রলয় শিখা’র মতো কবিতার ঝঙ্কারে শুধু শোষক-শাসকের ভিত্তিমূলই কাঁপেনি, কেঁপে উঠেছিল সমগ্র বাংলাও।কারণ এমন কবিতা প্রথম শুনল বাঙালি।


স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ স্বাগত জানালেন এই নতুন কবিকণ্ঠকে। ‘বসন্ত’ নাটক উৎসর্গ করলেন কারাবন্দি নজরুলকে।’বিদ্রোহী’ কবিতায় এমন আশ্চর্য এক নতুন সুর আর নতুন ছন্দের দোলা, হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্য আর পুরাণের এমন অপূর্ব প্রয়োগ, প্রেম আর বিদ্রোহের এমন আশ্চর্য সমন্বয়, এর তুলনা অতীতে ছিল না, পরবর্তীকালেও দেখা যায়নি।এই একটি মাত্র কবিতার মধ্যে নিহিত রয়েছে সমগ্র নজরুলের জীবনদর্শন আর অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ।’বিদ্রোহী’ কবিতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অসাম্প্রদায়িক মানবতার বাণী, মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের অহঙ্কার আর চিরস্বাধীনতার স্বপ্ন।


তাঁর আবির্ভাব ঝড়ের মতোই। তিনি নিজেই লিখেছেন আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়।তবে তাঁর লেখা অমর কবিতা ‘বিদ্রোহী’র জন্যই তিনি বিদ্রোহী কবিরূপে পরিচিত হয়ে ওঠেন।কবিতাটি আলোড়ন তোলে বাংলার সাহিত্যের ধারায়।তখন উপমহাদেশ ভাগ হয়নি। চলছে দোর্দ- প্রতাপে ইংরেজ ঔপনিবেশিকদের শাসন।যিনি দাঁড়িয়েছেন সব ধরনের অন্যায়-অত্যাচারের বিরম্নদ্ধে,অবিচারের বিরম্নদ্ধে,মানুষের পূর্ণ মুক্তির পৰে।তাঁর সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে তিনি দেশের মানুষের অনত্মরে স্থায়ীভাবে আসন লাভ করেন। আজ এমন একটা দিন নাই যেদিন তাঁকে কোন না কোনভাবে স্মরণ করা হয় না।তিনি সত্যিকার অর্থেই প্রাতঃস্মরণীয়। কবি নজরম্নল আমাদের গর্ব। তাঁকে আমরা এখন প্রতিদিন স্মরণ করি।


আজ প্রাণপ্রিয় আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৮ তম প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


*সকল তথ্য – সংগৃহীত।