সেই কবে যে খালি পায়ে হেঁটেছি
মনেই নেই।
তবে শৈশবে অনেক হেঁটেছি
হেঁটেছে অনেকেই।


কিন্তু তখন কি পিচ ছিলো?
পথগুলো কি এতো ভালো ছিলো?
ঠিক মনে করতে পারিনা
হইতো ছিলোই না।


একসময় কাঁচা পথে অনেক হেঁটেছি
কাঁচা মাটিতেই গর্ত খুঁড়েছি।
মনে আছে কিঞ্চিৎ
তবে উপলব্ধিতে পুরোপুরি নিশ্চিত।


কাঁচা ঘরে বেড়ে ওঠা
কাঁচা পথেই হাঁটা।
কাঁচা পথে খেলাধুলা
কাঁচা মনেই কাটতো সারাবেলা।
কাঁচা পথে গড়াগড়ি দিয়ে কান্না
কাঁচা চুলাতেই দেখেছি করতে রান্না।


বয়স ছিলো কাঁচা
আবেগও ছিলো কাঁচা।
চাওয়া পাওয়া ছিলো কাঁচা
ক্ষুধাও ছিলো কাঁচা।
ঘুম ছিলো কাঁচা
স্বপ্নরাও ছিলো কাঁচা।


তবে এখন হয়তো পেঁকে গেছি
অনেকেই পেঁকেছে।
পাঁকার চাপায় কাঁচাকেই ভুলে গেছি
কাঁচার অভাবে পাঁকা মনেও ঘুন ধরেছে।


এই ঘুনধরা মনে
আজ গিয়েছিলাম মসজিদ পানে।
রমজানের শেষ জুম্মার দিন
তাই মনটাও ছিলো মলিন।


নামাজ শেষে
ক্লান্তিময় রেষে
যাচ্ছিলাম পাদুকার পানে।
কিন্তু কে জানে
ঈদের আবেশে
পাদুকা চলে যাবে নিরুদ্দেশে।


আমার পাদুকার পাশে
আরেকজনের পাদুকাও ছিলো বসে।
অবশেষে
দুজনের পাদুকায় অভাবীর প্রেমে নিরুদ্দেশে।


অনেকক্ষণ খুঁজে
নিরুপায় হয়ে
মুখ বুজে
ফিরলাম খালি পায়ে।


জীবনের প্রথম পিচ ঢালা পথে
পাঁকা দেহে
খালি পায়ে গমন।
পাঁকা মনে উষ্ণ পাঁকা পথের সাথে
পাঁকা মসজিদ থেকে পাঁকা গৃহে
এ যে এক অসাধারণ ভ্রমণ।