বেড়েছে ওজন, হয়েছে ভুড়ি,
তাইতো, সুযোগ পেলেই ঘুরাঘুরি।


সেই দিনটি ছিলো ১৮ই ডিসেম্বর, শুক্রবার,
বরাবরের মতোই জুম্মা শেষে করলাম আহার।


তারপর বসে বসে চলছে ভাবা,
আশিকবাবু আজকে কোথায় যাবা?


আজকে যাবো কাওরানবাজার
বসুন্ধরা সিটি শপিং মল,
যেখানে প্রতিনিয়তই নামে
হাজারো গণমানুষের ঢল।


মিস্টার জাকারবার্গের ফেসবুকে,
পরি মণির স্ট্যাটাস দেখে,
মনের মাঝে সখ উঠলো জেগে,
তাইতো ঐ অনলাইনে ঢুকে,
সেই স্টার সিনেপ্লেক্সের বুকে,
টিকেটটা কাটলাম দ্রুতবেগে,
অন রেখে ফোনক্যামেরাটিকে,
ঝটপট ছুটলাম মোটরবাইকে,
অন টাইমেই পৌছলাম, সব ওকে।


গেলাম অনলাইন কাউন্টারে,
অপেক্ষা করলাম লাইন ধরে,
তারপরেই পেলাম টিকেটটারে।


হলের স্টাফদের জিজ্ঞেস করে,
পৌছলাম অবশেষে হলঘরে,
বসলাম নিজের ছিটের উপরে।


ফোনক্যামেরাটা তখনও অন,
চলছে ভিডিও রেকর্ড পনপন।


যা ঘটার ঘটলো কিছুক্ষণ পর,
হলঘর স্টাফের পড়লো নজর,
বললো ভিডিও ধারণ মানা,
জলদি করুন অফ, নো বাহানা।


আমিও কইলাম ওকে ওকে ভাইজান ওকে,
তারপর স্টার্ট করলাম অডিও রেকর্ডটিকে,
আর এনজয় করলাম সম্পূর্ণ সিনেমাটিকে।


সিনেমাটি লাগলো বেশ ভালো,
দেশাত্মবোধক ও জমকালো।


আছে কবি ও কবির কথা,
আর দেশপ্রেম দিয়ে গল্প গাঁথা।


ছিলো আরও আশিক ভাই নামের এক চরিত্র,
সত্যি বলতে বাস্তবসম্মত মৌলিক চিত্র।


সিনেমার হলো পরিসমাপ্তি,
বাকি রইলো শুধু আত্মার তৃপ্তি।


তাইতো হলঘরের বাইরে এসে
পরলাম মাথায় চাটাইয়ের টুপি,
ফোনক্যামেরাটা হাতে নিয়ে
শপিং মল ঘুরলাম চুপিচুপি।


সবাই তাকাচ্ছিলো হাসিমাখা মুখে,
আমিও করছিলাম শ্যুটিং মনের সুখে।


মজাও করলাম দোকানদার ভাইদের সাথে,
চেষ্টা করেছিলাম বিনোদন দিতে।


ঘুরাঘুরি শেষে শপিং মল করলাম ত্যাগ,
পিঠে ছিলো আমার সঙ্গীনী কালো ব্যাগ।


খানিক পরেই উঠলাম গন্তব্যমুখী বাসে,
ফিরলাম সেই হঠাৎ ভাবা হঠাৎ যাবার রেশে।