আমার আমি কে ধরাতলে?
হারিয়ে যাই পলে পলে-
সীমাহীন কৌতুহলে!

অনাদির সংগীত ভেসে আসে
অন্তহীন অনন্তের পথে -
দিগন্তের সূর্যটা হাসে!

জীবনের প্রভাত বেলা,
উঁকি দেয় যেন সুরে সুরে-
ফুরিয়ে আসে আনন্দ মেলা।

তবু স্বার্থের বেচাকেনা করি;
নিষ্ঠুর নিকষার মতো-
অভিনব কতো রূপ ধরি।

বিবেকের আদালতে দিয়ে তালা;
পৃথিবীর মহত্ব লাভের আশে-
মিথ্যে অভিনয়ের ছলাকলা।

যে সুধা পান অযোগ্য তাই,
খুঁজে ফিরি সতত এ সংসারে-
যার কোনো কিঞ্চিত মূল্য নাই।

আমার আমিত্ব কতো বড়ো কি-যে;
দেখাতে চাই কতো উপাচারে-
অথচ কতোটুকু আমি বুঝিও না নিজে।

মানবের মানস চেতনায় এ অহমিকা;
গরল সম নি:সৃত সর্বক্ষণ-
পোড়ায় জলন্ত দাবানল সম শিখা!

বোধ বোধকে পোড়ায় না তবু ;
করে না দগ্ধ চেতনার অঙ্গীকার-
তাইতো আজ নীরব মানবতার প্রভু!
তাং -১০/০৬/১৮