এখানে হৃদয়গুলোর প্রস্থ অনেক বেশী
কাকগুলো অনেক বেশী সরব
আর প্রেমিকাদের দৃষ্টি অপেক্ষাকৃত আদ্র ।
কিছু গান এখানেও বেসুরো।
রাতের আকাশে চাঁদটার পাশে
তারারাও দেখা দিয়ে যায় নিয়মিত ।


কিন্তু আমি এভাবে ভাবতে চাই না
আমার ইচ্ছে হয় প্রিয়ার সামনে নতজানু হয়ে
তার হাত ধরে বসে থাকতে...
কিন্তু পুরুষ শাসিত সমাজের
পুরুশালী চোখ রাঙ্গানী আমার
অবুঝ আবেগগুলোকে সঙ্কোচের চাদর দিয়ে ঢেকে রাখে...


আমি সঙ্কুচিত নই ।
তাই চারপাশ আমাকে সঙ্কুচিত করার চেষ্টা করে।
একবার সঙ্কোচনের পরেও কি
আমাকে প্রসারিত হবার জন্য,
একই রকম তাগিদ দেয়া হবে?
প্রসারণের যেমন কোন সীমা নেই।
সঙ্কোচন নিশ্চয়ই তেমন নয় !


আবার আমি ক্রুদ্ধ হই।
প্রতিটি মাংসপেশী্র ভেতর থেকে
শ্বদন্ত খিঁচিয়ে গর্জন করে উঠে কিছু হিংস্র শ্বাপদ ।
প্রতিটি লো্মকূপ দিয়ে আগ্নেয় লাভার মত ভলকে ভলকে
বেরিয়ে আসে তাদের শীতল নিঃস্বাসের হলকা ।


কিন্তু ক্রোধ আমাকে অস্থির করেনি কখনো।
বরং সে আমাকে পুড়িয়েছে তার শীতলতা দিয়ে।
শীতল এই আগুনে পুড়তে পুড়তে জমাট বেধেছে আমার হৃদয়।
প্রিয়ার উষ্ণ আলিঙ্গন সে হৃদয়কে গলাতে পারেনা।
তবুও শক্ত, কঠিন হৃদয়ে আমি টের পাই ক্ষরণ।
আমি এই ক্ষরণ এর কারণ জানিনা।