ঝড়ো হাওয়া ডাক দেয় সঙ্গী হতে
ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখায়।
চোখের সামনে নেচে উঠে, পাক খেয়ে ।
আমার কুঞ্চিত চোখের সামনে দূরের পাহাড়গুলো
সবুজাভ থেকে সবুজ হয় ।
রোদ ঝিলিক দিয়ে উঠে কোন হরিনের শিঙের ডগায়
পুঞ্জীভূত শিশিরকনায়  অথবা বৃক্ষরাজির ফাঁক দিয়ে-
ক্ষণিকের জন্য দেখা দেয়া কোন হিংস্র বেড়ালের চামড়ায়।


তখন আমি গান গাই...
মুগ্ধ কোন শ্রোতার প্রয়োজন এখানে নেই
পৃথিবীর গান আমি চিৎকার করে পৃথিবীকেই শোনাই।
দূরের বনভুমি দুলে উঠে আনন্দে,
চমকে উঠে মাথা তোলে সমতলের তৃণভোজীরা ।
তারপর আমার হেঁড়ে গলা –
মানিয়ে যায় এই সীমানামুক্ত চারপাশের সাথে ।


বাঁধভাঙ্গা সঙ্গীতের ধারা উৎসারিত হয় আমার-
কণ্ঠনালীর গভীরতম প্রকোষ্ঠ থেকে।
কোন গীতিকার সেই গান লিখেন নি।
কোন সূরকার দেননি সূর।
এই গান - প্রকৃতির গান।
নিঃসৃত হয় আমার প্রাকৃতিক সত্তা থেকে।
পিতাহীন পুত্র, যীশুর মত।