সব বিশেষণ সবার উপর খাটেনা।
মৃত্যুর যেমন মরন হয়না।
অথচ জীবন ঠিকই স্বাদ পায় মৃত্যুর।
এসব জটিল ব্যাপার আমি বুঝিনা।
কার্যকারণ তত্ত্ব আমাকে হতাশ করে বারে বারে।
হয়ত আমি ভালো তাত্ত্বিক নই।


কৈশোরে সাধ ছিল মেঘ হব।
কিন্তু বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ার ভয়ে সেই সাধ-
মুখ থুবড়ে পড়েছে আমার সাহসের দেয়ালে।
আমি আশা আর স্বপ্নের সুতো দিয়ে-
সেলাই করেছি আমার শতচ্ছিন্ন সাহস।
আবারো তাকিয়েছি আয়নার ভেতর দিয়ে নিজের চোখে।


সেই চোখে আমি দেখেছি পরাজয়ের গ্লানি,
হারাবার বেদনা আর না পাওয়ার হাহাকার।
নিজের চোখে তাকিয়ে যে অতৃপ্তি প্রথমে দৃষ্টিগোচর হোল-
তার অনেকটাই ছিল আমার অজানা।
অথচ আমার জীবন ছিল সুনিয়ন্ত্রিত।
ছকে ফেলা পাটিগণিতের মত।


নিজের ভেতর থেকে দুঃখগুলোকে নিংড়ে
বের করার কোন মানে নেই।
বরং জয়ের আনন্দ দিয়ে তাদের চিঁড়ে-চ্যাপটা
করে দিতে পারলেই আমি প্রকৃত সুখ পাই।
তাই মেঘ হওয়ার সাধ আমার আর হয়না।
তার বদলে আমি হতে চাই উত্তাল সাগরের মত উচ্ছ্বসিত।