যে দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে পায়ের দিকে,
সে দৃষ্টি কেবল ধুলো আর আবর্জনাই খুঁজে পায়।
আর নিজের মাথা ছাড়িয়ে যে চোখের দৃষ্টি
তার সীমায় ধরে রাখে আকাশটাকে
সে চোখ ঝলসে যায় সূর্যের প্রাখর্যে।
মাথা ঝুঁকিয়ে নিচে কিংবা উঁচিয়ে
আকাশ দেখার প্রয়োজন আছে সত্যি
কিন্তু নিজেকে হারিয়ে আকাশ দেখে
আমি তৃপ্ত হতে পারিনা ।


আমি তাকিয়ে থাকি সোজাসুজি সামনে
দূরে-বহুদূরে দেখি তাপতরঙ্গে ঝাপসা পথের বাঁক।
সরল এই পথের সহজ হিসেবের ভেতর দিয়েই
আমি মেলাই নশ্বর জীবনের জটিল সব হিসেবগুলো।
পূর্ণিমার আলোয় সেদ্ধ করা চাঁদের টুকরো
হৃদয়ের ক্ষুধা মেটায় দারুনভাবে
কিন্তু জৈবিক দেহ চায় কেবল জৈবিক খাবার।


মরুভূমির বুকে রাত জেগে ডিম
পাহারা দেয়া পাখির বিনিদ্র প্রতিচ্ছবি
আমাকে যেমনভাবে ভাবায়-
একইভাবে আমি আপ্লুত হই ঘরহীন
কোকিলের সন্তান লালনের অনিশ্চয়তায়।


অনেক আগেই আমি মুছে ফেলেছি নোনা জল
এই নোনা জলেরই আরেক নাম অশ্রু।
আবার একে কান্নাও বলা যায়।
বহু অনুশীলনে আমার দুচোখে এখন মরুভূমির শুষ্কতা।
যদিও উত্তাপ নেই একদম।


নিরুত্তাপ আর নির্বিকার চোখদুটো মেলে
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি নক্ষত্রমণ্ডল।
সরলরেখা টানি ধ্রুবতারা থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত
আবার চাঁদটাকে ঠেলে দেই মহাকাশের অন্ধকারতম কোনে।
কখনো আমার আঁকা সরলরেখাগুলো
হয়ে যায় ঢেউখেলানো বক্ররেখা।
এলোমেলো হিসেবগুলো হয় আরও বিক্ষিপ্ত
আর আমার স্বস্তিটুকু হয় সংক্ষিপ্ত।