একটা ফুল চ্যুত হয়েছিল বৃন্ত থেকে
হারিয়েছিল তার প্রিয় একটা পাপড়ি
টকটকে লাল দেহ লুটিয়েছিল ধুলোয়।
এক পূজারী কুড়িয়েছিল ফুলটিকে
পরম ভক্তিতে নিবেদন করেছিল দেবচরণে।


আর পাপড়িটা ভেসে গিয়েছিল বাতাসে
ভাসতে ভাসতে আর দুলতে দুলতে
একদিন সে পেয়েছিল এক কিশোরী।
কিশোরী তাকে আদর করে রেখেছিল
একটা সোঁদা গন্ধের পুরনো খাতার ভাঁজে।


মন্দিরের শীতল পরিবেশে ততোধিক শীতল
দেবতার পায়ের স্পর্শে ফুলটা শুকিয়ে মলিন হয়েছিল।
ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছিল তার রক্তিম দেহ।
আর সে বুঝেছিল, দেবতা ফুলের কাঙাল নন।
তাঁকে অদেয় কিছু নেই, কিন্তু তিনি কিছুই নেন না।


আর পাপড়িটা সময়ের হিসেব জানতোনা।
একদিন কিশোরী তার পুরানো খাতার ভাঁজ খুলে
তার সারাগায়ে লিখল, ‘ভালবাসি আর ভালবাসি’
তারপর জানালায় এক ফুঁ-এ উড়িয়ে দিল
এক পাপড়ি ভালবাসা আর ভালবাসা।


হাজারো আবর্জনার মাঝে মলিন ফুলটার
রেণুগুলো সিক্ত হয়ে ছিল বিশুদ্ধ হাহাকারে।
একদিন তার সারাগায়ে ভালবাসা লেপটে দিয়ে
তাকে এসে জড়িয়ে ধরল তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় পাপড়িটা।
কোন সম্ভাষণ নয়, ফুলটা কেবল উঁচু হয়ে
পাপড়িটা একটু বাড়িয়ে ধরেছিল দেবতার দিকে।