যে জটিল রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তার জন্ম
সেই প্রক্রিয়া তার জানা নেই
নিজেকে মেঘ রুপে আবিষ্কার করে
সে দিশে হারিয়েছিল নিখাদ বিস্ময়ে।
একদিন তার দেখা হল এক ঘুড়ির সাথে
বাহারি কাগজের রঙিন এক ঘুড়ি।
তার সারা দেহ ছিল রঙধনুর সাত রঙে রঞ্জিত
তার পুচ্ছে ছিল সাত রঙকে ছাড়িয়ে নতুন রঙ।


ঘুড়ির কাছে মেঘটা শুনল ধরণীর গল্প
কেমন করে কালবৈশাখী ঝড় মাতম উঠায়
ঘুমিয়ে পড়া বনভূমির উচ্ছাসে।
ফুল থেকে মধু খায় ভ্রমর আর ঘাসফড়িঙগুলো
কেবলি বিস্মৃত হয় সঞ্চয়ের কথা।
সেখানে রুপালী মাছ ঝাঁপিয়ে পরে
জলের গায়ে রোদের ঝিলিক দেখে
একপায়ে দাড়িয়ে পেটপূজার দায়িত্ব পালন করে সাদা বক।


তারপর, মেঘের খুব ইচ্ছে হল ধরণীর গন্ধ নিতে।
তাই সে ঈশ্বরের কাছে জানাল তার নিবেদন।
আর ঈশ্বর বললেন, “তবে তুমি জল হও।
বৃষ্টির রথে করে নেমে যাও মর্তে। আর
সঞ্জীবনী সুধা হয়ে প্রবাহিত হও বৃক্ষরাজির শিরায়”
শুকনো আর খটখটে পাহাড়ের বুক চিড়ে
ভিজিয়ে দাও মরুভূমির চিরশুষ্ক বাতাস


তাই মেঘ নেমে এল জল হয়ে
শক্তিশালী জলরাশি হয়ে পাড়ি দিল সহস্র যোজন
কোথাও তার নাম ছিল খাল, আবার
কোথাও সে পরিচিত হয়েছে নদী নামে
তার গন্তব্যের নাম হয়েছে সমুদ্র
জাগতিক সকল উপকরণ, সমস্ত নাম
আর পরিচয়ের পালা সঙ্গে করে
মেঘ এখন ছলাৎ ছলাৎ শব্দ করে টইটুম্বুর সমুদ্রের বুকে।
আর ঈশ্বরের কাছে মিনতি করে মরে ঘরে ফেরার টানে।