সেদিন ছিল মধুকাল ভোর-
স্নিগ্ধ প্রস্তার পথে চলাফেরা,
ভ্রামণিক চোখজুড়ে বাংলার প্রকৃতি-
ঈষানকোনে তখনো সূর্য লুপ্ত;
নেই বাংলার ঘরে গৈরিক আভা।
নীলাম্বরে এক ফালি চাঁদ নিষ্প্রভ;
ঘরে ফেরার তাড়নায় মত্ত-
ঘাসবনে শিশির শীতল কনা-
ভ্রমমান পান্থ-বিনয়ী সুপ্রভাত!
পিকবধূ মধুকন্ঠ জুড়ে;
ঢুলু ঢুলু মর্মে অর্জুন শাখে
প্রিয়কে জাগিয়ে তুলে।
সঙ্গোপনে শিকারি লক্ষ্মিপেঁচা
পেয়ারা খেতে ব্যস্ত তখন।
মাকড়সার জালে আহত আবদ্ধে কীট-
উদ্যত শিকারী-নেই মার্জনা ওদের।
সকাল হতে না হতেই,নিঃশেষ হচ্ছে
মালতির মধু -দলে দলে মক্ষিকা,
উড়ে গেল প্রহ্লাদ জুড়ে-!
পলাশের তল বসন্ত উৎসব জুড়ে
খেলছিল হলুদ রঙে-
আর ছিল বাঁশঝোপে জোনাকীর খেলা।
প্রভাতী কীর্তন-আজান গান
সন্নিকটের গ্রাম বেয়ে-
দিন দিগন্তে হিল্লোল তার।
নম্রবায়ু মৃদু ঢেউয়ে তখন
পুষ্করিনির জলে চলছিল প্রেম
করাল করালি মিলে।
নীলাভ আকাশে সফেদ ডানায়
উড়ে গেল এক ঝাঁক বলাকা।
গাছে গাছে ডালে ডালে দোলন,
স্নিগ্ধ বাতাসের উত্তাল ঢেউয়ে
লেগেছিল মর্মরধ্বনি।
সুদূর পথ বেয়ে ক্লান্ত পথিক,
শিরিশের তলে ঘুমিয়ে পড়েছে
নরম ঘাঁসের বিছানায়।
সেই ভোরে ছিলনা হিংস্র হানা
একে অপরের পিছে-
দিনশেষ গ্লানি গেছে মুছে
সোনাই ভৈরবী আনন্দ উন্মাদ।
তখন শুষে নিচ্ছিল একটি প্রানী-
ভ্রমমান পথিকের ভেসে সেই দর্শি,
শালিন শস্যশ্যামলা বাংলার
ওষ্ঠ অধরের অমৃত কষ-