নীলা, বহুদিন হল তুমি চলে গেছো
কি জানি; আর ফিরবে না হয়তো-
ফেরার তাড়নাও হয়তো অনুভব করনা
তবু অপেক্ষার ও শেষ হবে না।
বিরহ সঞ্চারীনি স্মৃতি গুলো-
আকাশে-বাতাসে-নদী-খেত-মাঠ
তরুলতা-কুহেলিকা-কাকলি সবেতে
মিশিয়ে দিয়ে গেছো।
তুমি বলে গেলে পড়ন্ত বিকেলে
গোধূলির আলো নিয়ে ফিরবে।
বলেছিলে বিবাহ বাসর সাজাবো
এদের মাঝে আমাদের।
সেদিন এদের সোবাইকে তুমি
কথা দিয়েছিলে- মনে নেই?
লগ্ন বহে গেছে- সোবায় থমকে,
কর্মে বিরত- যদি ফিরে আসো তুমি!
নির্ঝর বারিমুখ বন্ধ রেখেছে
তোমাকে স্নান করাবে বলে সেদিন
সহস্র নির্মলা হীম বারি স্রোতে-
শতেক পূর্ণিমার জ্যোৎস্না জমিয়েছে
চন্দ্রিকা- তোমাকে সাজাবে বলে।
হাজার মাঘের পিকবধূ অপেক্ষায় বসে
কাকলির সুভারম্ভের সানাই বাজাবে বলে।
বসন্ত চলে গেছে তবু তার আভা যেতে দেয়নি
পল্লবের দল- তুমি ফিরবে ভেবে।
মালতি টগর জুঁই চামেলি রয়েগেছে
তারা শাখে পূর্ণ সৌরভে- ভূলে গেলে?
নিসর্গ সংসদও আজ সাক্ষী
তুমি ফিরবো বলেও ফিরলেনা।