হে বরেন্য বন্দনীয় সুকুমারী
অমৃতসম শোভা তোমার।
এই লেখনীর দ্বারা কি করি
কি দিয়ে, তুলে ধরি আমার।


কোন বর্নাট তার শ্রেষ্ঠ দক্ষতায়
এঁকেছিল তার আশ্চর্য তুলি দিয়ে।
নিজ প্রেয়সিকে হারিয়ে সেই রূপে তোমায়-
হে বঙ্গ রূপসী নানা রঙে রাঙিয়ে ?


তোমার সিঁথি হতে বহে যায়
পূন্য নির্মলা গঙ্গার জল
দুধারে বীথি বীথি কুন্তল প্রভায়
শস্য সুফলা হাসে খল খল ।


তোমার লোমকূপে শাল শেগুন
পিয়াল- কাঁঠালের অজস্র বনানী-
তাদের বসন্তে যৌবনে লাগে আগুন,
হে বঙ্গ রূপসী, মনহারিনী -


শ্রাবনের জলে হেসে ওঠ তুমি
স্নানের ছলে বর্ষায় কল কল-
অঙ্গে জাগে দোঁয়াশ এটেল বেলে ভূমি
নিয়ে তার শরতের যত ফুল ফল।


তোমার তনুজুড়ে নিশিদিন খেলা করে
কত পশু-মক্ষিকা-কীট-সাপ হরসে
নীল লাল কুসুম, আনন্দে পাখিরা গান ধরে-
হে বঙ্গ সুন্দরী তোমার আশিষে ।


প্রতি পূর্ণিমা তুমি নবোঢ়ার মতো
অজস্র স্বর্নালঙ্কার কিরনে বাসর জাগাও-
আঁখিজোড়া, মুখটি করে নত,
রজনীর ঘর সানন্দে রাঙাও।


তোমার রূপের বর্ণনা ছটায়-
অসংখ্য ঘাটতি অত্যুক্তি জেগে আছে জানি
তোমার সুন্দরতা ও মহিমায়
হে বঙ্গ রূপসী, পৃথিবীর নয়নমনী-