আজ তোমার জন্মদিন
               আমার প্রানে,
           আনন্দ বেজেছে
           নব সুর তোলেছে।
তবু উদাসিন হৃদয়ে বসে আছি
                      অনিবার ভাবছি।
কি দেবো আজকে তোমায় উপহার
               মন যে পরেছে দিধার হার-
কি দেবো গোলাপ পারূলের সৌরভ?
                  নতশির রঙ তার নিষ্প্রভ
        তাদের দেহ মন আজ জীর্ণ নিরব
                                   পার্থিব পরাভব।


তবে কি দেবো আজ তোমার হাতে ধরায়?
                                     হরষে মন ভরায়।
           গোধূলির সোনালী আলো?
            এর চেয়ে আঁধার ভালো।
            এ তো সকাল হতে
            রাঙা হয় রক্তে-
এ কেমনে তুলিবে সুন্দর সভায়
নিজের রূপদিয়ে; তোমায় প্রভায়।
নাকি ভরিয়ে দেবো নুপুর বা কাঁকনে
                          এই রাতে এই ক্ষনে?
কি ভেবেছো নুপুরের গুঞ্জনে কাঁকন নিনাদে
পূলক নয়নে ছুটে আসবে জীব পৃথিবীর ছাদে?
                         তারা শঙ্কিত হবে
                 শিকারীর শব্দে নিরবে!


এর থেকে নিয়ে যাবো তোমারে
জনহীন কোমল দ্বীপের ভেতরে-
দেখতে পাবে সারি সারি দেওদারো
                           মাঝে মাঝে আম্র।
                   বাতাসে ঢেউ তুলে শান্ত
      তার তলে বোসে তুমি একা পান্থ।
হাজার বৃক্ষ তরুবর গুল্মের শ্যামালিকা
                  পল্লব ডগের যত কুহেলিকা।
এরা তোমার সঙ্গি হবে
নব হ্রাদে ভরিয়ে দেবে।
তাদের ডালে যত কুসূম রবে
   তারা তোমার মন রাঙাবে।
আর যে সেদিন পক্ক ফলে আহার-
জন্মদিনের এটাই তোমার উপহার।