ভোর আকাশ থেকে নেমে আসা
আমি ঘাঁস ডগের শিশির কনা।
সুদূর আকাশে ছিল আমার দুরন্ত উচ্ছাস
ধরিত্রী, তোমার পুরোদেহ স্নান করানোর অভিলাস।
ওখান থেকেই দেখেছি তোমাকে
অহংকারে মত্ত হয়ে ছোট্ট পলকে।
যতই এসেছি তোমার অভিমুখ দ্বারে
ততই অবাক হয়েছি নিজের তুচ্ছতা জেনে।
সহসা আমার স্থান দিয়ে দিলে
বুকের এক কোনে অন্তস্তলে।
আমার স্বপ্নময় ইচ্ছে শুনলো তৃনবন্ধুর দল
পরিহাসে হেসে উঠলো কল কল।
আরতো মাত্র কয়েক ঘটিকা সময় হাতে
আমার জীবনাবসানের প্রাতে-
ইত্যবসরে ইচ্ছা সফলের পথ খুঁজলাম
জীবনের এক বৃহৎ ভ্রম দেখলাম।
নিয়তির কাছেও কত অভাগা কপাল ঠুকলাম
জীবনের কেন এই ব্যর্থতা জানতে চাইলাম ।
দৃষ্টিহীন-বধির-বোবা নিয়তি স্তব্ধতায় দেখলো
কেমনে সজাগ দূরন্ত স্বপ্ন গুলো ধ্বংস হলো।
আকাশে জেগে উঠলো সূর্যের আভা
আমার সশরীরে শুরূ হল মৃত্যু জালা।
তবু আমি চুপ হয়ে চলে গেলাম
জীবনের এই সত্যতা মেনে নিলাম।