দেবদারূর স্নিগ্ধ ছায়া সেদিন সৈকতে
ভরপুর আনন্দে মন; পারেনি ভরাতে-
সুপ্ত বাসনায় তুমি খুঁজেছিলে যেতে
পাহাড়ের সুশিখরে আশমান আনন্দে।


শীতল ঝর্নার মুখে ঝরিত পানিতে
বুক পেতে স্নান করবে বলেছিলে নীচে,
সেই পাথরের তলে অনন্য আহ্লাদে-
কল্লোলিনীর মধুর শব্দে নেচে নেচে।


পর্বত চূড়ায় বসে স্থাবর নয়নে
পৃথিবীর রূপ দেখতে চেয়ে ছিলে তুমি-
চন্দ্রিমার আলোকছটা, রাত্রির গুঞ্জনে
খোলা বাতাসের মাঝে- অভিমুখে আমি।


পাহাড় শ্যামল গাত্র, কুন্তল শ্যামলিতে
একাকার করেদিতে চেয়ে ছিলে জানি-
মনের মাধুরি ঢেলে গাছেদের তলে,
সুপ্ত আবেগ বিলিয়ে- মন বিহারিনী।


গিরি কুন্ত কুমারির সঙ্গিত কাকলি-
শুনে শুনে তার সনে ডানা মেলে উড়ে
মলিন ভূবন মায়া- যত বাধা খুলি-
মিশে যেতে চেয়েছিলে শিলাদের ভিড়ে।


নির্জন আসমানে বোসে শির নত করে
ঝর্নার জলের গন্ধ মেখে গায়ে গলে-
মলিন অতীত ভুলে পাহাড় নির্ঝরে,
সুখোদয় অনুভব করতে চেয়েছিলে।