অনেকক্ষণ রাতের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছে দিন।
তখনো রাত্রি গভীর ঘুমের দেশে যায়নি
অজানা কারণেই শেষ বাসটা আজ বন্ধ।
কি কারনে মেয়েটার বুক একবার কেঁপে উঠল।
জানি না কি আছে কপালে!
হাঁটা ছাড়া ঘরে ফেরার আর কোন রাস্তা নেই।
আশপাশটা চেয়ে দেখলো;
অন্যান্য দিনের চেয়ে বড্ড বেশি নিরালা।
ভাবল যদি একটা রিক্সা পায়
অনেকগুলো টাকা ;
কিন্তু সেই দীনবন্ধুর দেখা নেই।
অগত্যা সে হাঁটা জুড়ে দিল।


ল্যাম্পপোস্টের আলোগুলো ক্রমশ পিছিয়ে যায়।
অদ্ভুত ভাবে ছায়াগুলো ছোট থেকে বড় হয়।
সামান্য দূরে একটা শেয়াল রাস্তা পার হয়ে গেল।
একবার চোখাচোখি হলে চোখটা জ্বলজ্বল করছিল।
মেয়েটা কেমন যেন থমকে গেল।
আশ্চর্য পোশাকের খসখস আওয়াজ যেন বেড়েই চলেছে।
আর কিছুটা গেলেই তার বাড়ি।
হঠাৎ যেন চোখে অমাবস্যার অন্ধকার নেমে এলো।
কে বা কারা যেন ফিসফিস করে কিছু বলছে।
মেয়েটা একবার চিৎকার করবার চেষ্টা করেছিল।
তারপর তার চিৎকার অন্ধকারে হারিয়ে গেল।