দারুন দারুন দারুন অনুভূতিগুলো
নাড়িয়ে দিয়ে যায় শিরদাঁড়ার মজ্জা।
ফনির দোকান থেকে ব্রয়লারের মুরগিগুলো
কাটার আগের আর্ত চিৎকার কানে আসে
দৃশ্য জেগে ওঠে চোখের কর্নিয়ায়
ফিনকি রক্ত সাদাপালক লালেলাল
ছটফট করতে করতে স্তব্ধ হয়ে যাওয়া।


শৈলেন এর দোকানে কাঁচি
খ্যাচ খ্যাচ খুছ খুছ চলতেই থাকে।
খুরটাকে ধারালো করে তোলে সে
চামড়ায় বসে যায় নিশ্চিন্তে;
রক্ত যেন না বের হয় একফোঁটা।
বাচ্ছা ছেলেটার বুক কেঁপে ওঠে
আতঙ্ক ফুটে ওঠে চোখে মুখে!
কেমন লাগবে যদি খুরটা বসে গভীরে?


উৎসবে সেজেগুজে মেয়ে হেঁটে যায় ।
ছুরির মতন ধারাল চোখগুলো
মেয়ের শরীর নীরবে চেটে যাচ্ছে,
মেয়ে জানে হয়তো বা জানেনা।
একজন অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, তারপর...
লোকটার চোখ জবাফুলের মতন লাল,
সাড়া শরীর জুড়ে তার অসংলগ্নতা,
হায়েনার মতন লালা ঝরিয়ে সে হাঁপায়।


উৎসবের আলো হটাত নিভে গিয়েছিল
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মায়ের আরতি বন্ধ।
অন্ধকারেই বলি হয়েছে চালকুমড়ো!
রক্তের মত লাল ছড়িয়ে আছে।
আত্মসমর্পণ নাকি বলি !
এ কি রকম অঞ্জলি!